গাজীপুরের শ্রীপুরে দশ টাকার মজা খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে সাত বছরের এক শিশুকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠছে। বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালের দিকে শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের টেংরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে দুপুরের দিকে ওই ভিক্টিম শিশুকে হাসপাতালে পাঠানো হয় বলে জানায় পুলিশ। এ ঘটনার পর অভিযুক্ত আমিনুল ইসলাম (৪৫)-কে আটক করেছে থানা পুলিশ। সে ওই গ্রামের শামসুদ্দিনের ছেলে। আমিনুল পশুখাদ্য বিক্রি করে।
ভুক্তভোগীর স্বজন ও স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের টেংরা গ্রামের দক্ষিন পাড়া নানার বাড়িতে থাকতো ৭ বছরের ওই শিশু। তাদের গ্রামের বাড়ি পৌর এলাকার কেওয়া গ্রামে। বৃহষ্পতিবার সকালে শিশুটি স্থানীয় মসজিদের বারান্দার মকতবখানায় হুজুরের কাছে পড়তে যায়। ছুটি শেষে নানার বাড়ি যাওয়ার পথে মজা খাওয়ানোর কথা বলে কৌশলে শিশুটিকে নিজ বাড়িতে নিয়ে যায় আমিনুল। পরে সেখানে শিশুটিকে ধর্ষণ করে সে। এসময় কান্নাকাটি শুরু করলে তার হাতে ১০ টাকা দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। পরে শিশু বাড়িতে গিয়ে নানির কাছে ঘটনা খুলে বলে।
ভিক্টিম ওই শিশুর নানি বলেন, বিষয়টি অবগতকে হয়ে স্থানীয় মসজিদের ইমামকে জানালে তিনি এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে ধর্ষককে আটক করে পুলিশে খবর দেন। মসজিদের ইমাম লোকমান হোসেন জানান, আমিনুল দ্বিতীয় স্ত্রী রেখে শিশু বাচ্চার সাথে এমন করলো তা কোনো ভাবেই মেনে নেওয়া যায়না। তার কঠিন বিচার চাই।
শ্রীপুর মডেল থানার ওসি তদন্ত ইমতিয়াজ আহমেদ যায়যায়দিনকে বলেন, খবর পেয়ে অভিযুক্ত আটক করা হয়েছে। ভিক্টিমকে উদ্ধার করে গাজীপুরের শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।
আপনার মতামত লিখুন :