গুরুদাসপুরে ধর্ষণ ও চাঁদাবাজি মামলায় দুইজন কারাগারে


মেহেদী হাসান তানিম নাটোর প্রকাশের সময় : ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২১, ১:৫০ অপরাহ্ণ / ০ Views
গুরুদাসপুরে ধর্ষণ ও চাঁদাবাজি মামলায় দুইজন কারাগারে
সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১৩) ধর্ষণের অভিযোগে আবু সাঈদ রনি নামের (২৩) এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে গুরুদাসপুর থানা পুলিশ। এঘটনায় চাঁদা দাবির অভিযোগে শহিদুল ইসলাম (৪৫) নামের এক যুবলীগ নেতাকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শহিদুল ইসালাম গুরুদাসপুর উপলোর চলনালী গ্রামের মৃত মুনছের আলীর ছেলে। তিনি ধারাবারিষা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি। ধর্ষক আবু সাঈদ রবি পাশ্ববর্তী বড়াইগ্রাম উপজেলার বাজিতপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে।
স্থানীয় ও মামলা নথি সূত্রে জানাগেছে- ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর বাড়ি গুরুদাসপুর উপজেলার দক্ষিণ নারিবাড়ী গ্রামে। মোবাইল ফোনের সূত্রধরে ওই ছাত্রীর সাথে বখাটে যুবক আবু সাঈদের সাথে একাধিকবার কথোপকথন হয়। সপ্তাহখানেক আগে রনি বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ওই ছাত্রীকে নিয়ে নিরুদ্দেশ হন।
ওই ছাত্রীর মা জানান- তারা জানতে পারেন মেয়েকে নিয়ে রনি ঢাকায় অবস্থান করছেন। বিয়ে দেওয়ার কথা বলে মেয়েসহ রনিকে ফিরে আসতে বলেন তারা। কথামতো রনি ২ ফেব্রæয়ারী ফিরে আসেন।
পুলিশ জানায়- রনি ওই ছাত্রীকে নিয়ে গুরুদাসপুরে এলে যুবলীগ নেতা শহিদুল তাদের জিম্মি করেন। একপর্যায়ে রনির পরিবারের কাছে ২লাখ টাকা দাবি করেন তিনি।
গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন- শহিদুল তার বাড়ির কাছে চরকাদহ ঈদগাহ মাঠে রনি ও ওই ছাত্রীকে আটকে রেখে চাঁদাদাবি করেন। চাঁদার টাকা পেলে বিষয়টি স্থাণীয়ভাবে আপোষের আশ্বাসও দেন। ২ ফেব্রæয়ারী দুপুরে পুলিশ ওই ঈদগাহে অভিযান চালিয়ে যুবলীগ নেতা শহিদুল, ধর্ষক রনি আটক করে।
তিনি বলেন- এঘটনায় ওই ছাত্রীর মা বাদি হয়ে আবু সাঈদ রনিকে অভিযুক্ত করে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। এছাড়া রনির মা বাদি হয়ে শহিদুলকে অভিযুক্ত করে চাঁদাবাজি একটি মামলা দায়ের করেন। অভিযুক্তদের বুধবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com