দেবীদ্বারে সৎ ভাইয়ের ধর্ষণে স্কুলছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা


অনলাইন ডেস্ক প্রকাশের সময় : নভেম্বর ৩০, ২০১৯, ৬:৫৮ অপরাহ্ণ / ০ Views
দেবীদ্বারে সৎ ভাইয়ের ধর্ষণে স্কুলছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা
এ আর আহমেদ হোসাইন(দেবীদ্বার-কুমিল্লা)প্রতিনিধি//

 কুমিল্লার দেবীদ্বারে সৎ ভাইয়ের যৌন কর্মের দায়ে পরপর দুইবার অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে মেয়ে নবম শ্রেনীর এক স্কুল ছাত্রী।

ওই ঘটনাটি জানা জানি হলে সৎ ভাই ওই স্কুলছাত্রীকে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দিচ্ছে বলে জানায় ওই ছাত্রী।উপজেলার রাজামেহার ইউপিতে ওই ঘটনায় তোলপাড় চলছে পুরো এলাকায় জুড়ে।

স্থানীয় ও পারিবারিক সৃত্রে জানা যায় ওই সৎ ভাইয়ের নাম মেহেদি হাসান।সে রাজামেহার ইউপির গোবিন্দপুর গ্রামের শাহ আলম সরকারের ছোট ছেলে।১২ বছর আগে শাহ আলম সরকারের প্রথম স্ত্রী পাঁচ মেয়ে ও দুই ছেলে রেখে মারা যায়।পরে শাহ-আলম সরকার ভানী ইউপির স্বর্ণকার পাড়ার এক বিধবাকে বিয়ে করেন।বিয়ের সময় তার ১১ মাস বয়সী একটি মেয়ে সন্তান ছিল।পরে ওই মেয়ে সন্তানসহ ওই বিধবাকে ঘরে তুলেন শাহ আলম সরকার।তখন থেকে ১১ মাস বয়সী ওই মেয়ে সন্তানকে লালন পালন শুরু করে শাহ আলম সরকার।বর্তমানে ওই মেয়ে সন্তান রাজামেহার উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী।শাহ- আলম সরকারের আগের সংসারের পাঁচ মেয়ে বিবাহিতা হওয়ায় মেয়েরা স্বামীর বাড়িতে থাকে।বাড়িতে একা থাকতো মেহেদি হাসান।বর্তমানে মেহেদী হাসান রাজামেহার কলেজে এইচএসসির ছাত্র।প্রতারক মেহিদী হাসান এবং ওই স্কুল ছাত্রী একই ঘরে ভাইবোন হিসেবে থাকতো।পাশের অন্য ঘরে থাকত শাহ আলম ও তার স্ত্রী।

ভুক্তভোগী জানায়, মেহেদী হাসান ইংরেজি বিষয়ে পারদর্শী হওয়ায় বড় ভাই হিসাবে মাঝে মাঝে ইংরেজি বিষয়ে হতল বোনকে পড়াতেন।এরপর থেকে মেহিদী হাসান তার ওপর কু-নজর দেন।পড়ার কৌশল করে মেহিদী হাসান  বিভিন্ন সময়ে যৌন নির্যাতন চালাতো এবং কুপ্রস্তাব দিতো।প্রস্তাবে রাজি না হলে হত্যার হুমকি দিতো,আর বলতো বাবাকে হত্যা করে তোর মায়ের ওপর দোষ চাপাবো,হত্যার দায়ে তোর মায়ের ফাঁসি হবে। বাবাকে হত্যার ভয়ে কাউকে এ ঘটনা জানায়নি,সব নির্যাতন মুখ বুঝে সহ্য করেছে।এক পর্যায়ে এক রাতে ফাঁকা ঘরে তাকে ধর্ষণ করে।এরপর থেকে লাগাতার তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়াতে বাধ্য করে মেহিদী হাসান।একাধিকবার ধর্ষণের পর এক পর্যায়ে সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। অন্তঃসত্ত্বার খবর পেয়ে মেহিদী হাসান তাকে সন্তান নষ্ট হওয়ার জন্য বিভিন্ন ওষুধ সেবন করান।পরে এ ঘটনা সে তার মাকে জানালে মেহেদী হাসান মায়ের পা ধরে ভুল হয়ে গেছে বলে ক্ষমা প্রার্থনা করে,আর তার বাবাকে না বলার জন্য অনুরোধ করে।চাকরি হলে তাকে বিয়ে করবে বলেও প্রতিশ্রুতি দেয় তার মায়ের কাছে।

ভুক্তভোগী আরো জানায়, ঘটনা এখানেই শেষ নয়, পরে তাকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে আবারো শারীরিক সম্পর্ক করতে থাকে মেহিদী হাসান। বর্তমানে সে দ্বিতীয় বারের মত দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা।অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর শুনে পালিয়ে গেছে মেহিদী হাসান।পরে মেহিদী হাসান বিভিন্ন ফোন নম্বর দিয়ে কল করে এ ব্যাপারে মুখ খুললে তাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিতে থাকে।
ওই ব্যাপারে রাজামেহার ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ৪ নং ওয়ার্ড মেম্বার মোঃধনু মিয়া বলেন,ঘটে যাওয়া ঘটনাটি সামজিক ভাবে আমরা মেহেদী হাসানের বাবা শাহ আলম সরকারকে নিয়ে ওই ছেলের সাথে মেয়েটিকে বিবাহ দিয়ে সমাধান করার চেস্টা করলেও তা পারি নাই।তিনি বলেন মেহেদী হাসানের বড় বোন ওই বিষয়টির দায়ভার স্বীকার করতে নারাজ তাই আমরা পারি নাই।

এ ব্যাপারে রাজামেহার ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা আমার ইউনিয়নে হচ্ছে আমার জানা নেই। আমি খোঁজ খবর নিচ্ছি।এ ব্যাপারে ভুক্তভোগীকে যে কোনো সহায়তা করা হবে।
ওই বিষয়ে থানার ওসি মোঃ জহিরুল আনোয়ার কে জানতে চাইলে তিনি বলেন  ভুক্তভোগীর পরিবার থেকে কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি।অভিযোগ পেলে ভুক্তভোগীকে যে কোনো আইনি সহায়তা দেব।

Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com