মাদকের শীর্ষে কালীগঞ্জ , ব্যর্থ হচ্ছে জিরো টলারেন্স নীতি


অনলাইন ডেস্ক প্রকাশের সময় : সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২২, ২:২৪ পূর্বাহ্ণ /
মাদকের শীর্ষে কালীগঞ্জ , ব্যর্থ হচ্ছে জিরো টলারেন্স নীতি

দেশের সর্ব উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা হচ্ছে লালমনিরহাট। এ জেলায় পাঁচটি উপজেলা সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতিবান্ধা ও পাটগ্রাম। এ জেলার পাঁচটি উপজেলা ভারতের সীমান্ত ঘেঁষা হওয়ার কারনে এ জেলায় মাদকের রমরমা ব্যবসা নতুন নয় অনেক আগে থেকেই চলে আসছে। মাদক প্রতিরোধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জিরো টলারেন্স নীতি এ জেলায় প্রশাসনের ব্যর্থতার কারনে বারবার ব্যর্থ হচ্ছে। জেলার এ পাঁচটি উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি মাদকের ছড়াছড়িতে এখন কালীগঞ্জ উপজেলা রয়েছে। 

এ উপজেলার প্রায় সকল রুটে এখন মাদক আসছে। তারমধ্যে সবচেয়ে বেশি মাদক অন্য জেলায়  যাচছে গংগাচড়া শেখ হাসিনা সেতু দিয়ে। 

যদিও কাকিনা – মহিপুর – রংপুর সড়কে প্রতিনিয়ত থানা পূলিশ, ডিবি পুলিশ ও র‍্যাবের টহল/ চোকপোস্ট বসানো হলেও এ সড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত রংপুর ও তার পাশ্ববর্তী জেলা উপজেলায় হাজার হাজার মোটর সাইকেলে মাদকসেবীরা কালীগঞ্জের গ্রাম গন্জে প্রবেশ করে রাস্তার উপরেই মাদক সেবন করে নিরাপদে ঘরে ফিরছে। প্রশাসনের এ সকল চেক পোস্টে বড় কোন মাদক ব্যবসায়ী বা মাদকের চালান আটক না হলেও ছোট ছোট চালানসহ মাদক পরিবহন কারী ব্যক্তিরা আটক হলেও অনেক সময়েই আটককৃত মাদকের সঠিক হিসাব মিলা দায় হয়ে পড়ে। কারন স্থানীয়দের মতে খোঁদ প্রশাসনের লোকজনের বিরুদ্ধে আটককৃত মাদক গায়েবের অভিযোগ উঠে থাকে।

এছাড়াও উপজেলার খামারভাতি, চন্দ্রপুর বাজার, বন্ধুরবাজার, ময়নারচওড়া, বলাইরহাট, নওদাবাস, বেতগাড়ী,লতাবর, চাপারহাট, পাটিকাপাড়া, কালভৈরববাজার, পরশুরামপাড়া, তেঁতুলতলা, বুড়িরহাট, গোড়ল চৌপতি, শিয়ালোওয়াবাজার, সোনারহাট বাজার, কাজিরহাট, আকাশ ফিলিং স্টেশন, তেঁতুলিয়া বাজার, পলাশীবাজার, সিরাজুল মার্কেট, ভোটমারী বাজার, হাজরানিয়া বাজার, জোস্নার বাজার, চৌধুরীর মোড়,  মানিক বাজার এলাকাগুলো মাদকের স্পট বলে সরে জমিনে জানা গেছে। প্রতিদিন বিকেল হতে মধ্যরাত পযর্ন্ত এ সকল স্পটে ওপেনে মাদক বিক্রির রমরমা ব্যবসা চলে। 

কালীগঞ্জ উপজেলায় মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ছে অল্প বয়সি কিশোর, তরুন, যুবকসমাজ। মাদক বিক্রিতে পিছিয়ে নেই নারীরাও। উল্লেখ্যযোগ্য মাদকের মধ্যে রয়েছে ফেন্সিডিল, ইয়াবা ট্যাবলেট, হিরোইন, গাঁজা ও মদ। উপজেলার গ্রামগঞ্জে সহজেই হাতের নাগালে এসব মাদক পাওয়া যাওয়ার কারনে ধংব্সের পথে পা বাড়াচ্ছে কিশোর, তরুন সহ যুবসমাজ। মেধাশুন্য হচ্ছে জাতি। নেশার টাকা যোগাতে বাড়ছে চুরি, ছিনতাইসহ কিশোর অপরাধের মত অনেক অপরাধ। ঘটছে খুন ও ধর্ষনের মত ঘটনাও। উপজেলা জুড়ে এমন পরিস্থিতির কারনে উৎবিগ্ন শিক্ষার্থী সহ অভিভাবকরা। 

ইতিপূর্বে লালমনিরহাট জেলার পুলিশ সুপার এসএম রশিদুল হক বদলিজনিত কারনে চট্রগ্রামে চলে যাওয়ায় মাদকের প্রকোপ কালীগঞ্জ সহ পুরো জেলায় ব্যাপক হারে বিস্তার লাভ করে। সম্পৃতি এস এম রশিদুল হক পদন্নতি পেয়ে পুনরায় বাংলাদেশ পুলিশের রংপুর রেন্জ এ যোগদান করায় পুনরায় মাদক নির্মূলে মাদক বিরোধী অভিযান জোরদার হবে বলে আশার আলো দেখছেন এলাকার সর্বস্তরের মানুষ। স্থানীয় লোকজনের দাবি মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকা প্রস্তুত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হোক।

Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com