কেঁচিতেই চলে জীবন-জীবিকা


অনলাইন ডেস্ক প্রকাশের সময় : অক্টোবর ৬, ২০২১, ৩:০৩ অপরাহ্ণ /
কেঁচিতেই চলে জীবন-জীবিকা

সবুজ সরকার বেলকুচি সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলা তাঁত শিল্প এলাকা এখানে পুরুষদের পাশাপাশি নারীদের জীবন জীবিকা চলছে শাড়ী কাপড়ের বুটা কটে অসহায় অনেক নারীর।  বিভিন্ন ডিজাইনের কাপড়ের নকশার বুটা কেঁচির মাধ্যমে  কেটে কাপড় ব্যবহার করার উপযোগী করে তোলেন। কেঁচির ব্যবহার মাধ্যমে চলছে তাদের সংসার। অনেকে আবার অবসর সময়ে অর্থ উপার্জনে জন্য কাপড় কাটার কাজ করে থাকেন। আবার অনেকেই পেশা হিসাবে এই কাপড় কেটে জীবন জীবিকা নির্বাহ করছেন। প্রতি দিন ২ থেকে ৩ পিছ শাড়ী কাপড় কাটতে পারেন আবার কাপড়ে ডিজাইন কম থাকলে ৫ থেকে ৬ পিছ পর্যন্ত কাপড় কাটা যায়।  প্রতিটি শাড়ী সর্বনিম্ন ১৫ টাকা থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত কাটার  মুল্য দেওয়া হয়।

সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার প্রতিটি গ্রামে প্রায় ৫ শতাধিক নারী বাড়ির কুঠিরে বসে অবসর সময়ে এ কাপড় কাটার  কাজে ব্যস্ত থাকেন । অনেক আবার পেশা হিসাবে এই কাজ করেন। সাপ্তাহিক ও মাসিক চুক্তির মাধ্যমে মহাজনদের এই কাপড় কেটে দিচ্ছেন। আবার কেউ কেউ বাৎসারিক হিসাবে এই কাজ করে থাকে। এতে বাড়তি আয় হচ্ছে তাদের। সংসারে আসছে সচ্ছলতা। কাপড় কাটার কাজই হয়ে উঠেছে অনেক অসহায় নারীর জীবিকার অবলম্বন। কেউ সংসারের কাজের ফাঁকে আবার কেউ লেখাপড়ার পাশাপাশি এই কাজ করে বাড়তি আয় করছেন।

কাপড় কাটিং কারিগর মিনা খাতুন জানান, প্রায় ৪ বছর যাবৎ ধরে কাপড় কাটার সাথে জড়িত।  যা পাই তা দিয়ে ঘর সংসারের কিছু খরচ ও ছেলে মেয়ের লেখা পড়ার খরচ চালাই।শাহিনুর ও ফুয়ারা খাতুন বলেন, ঘর-সংসারের কাজ সামলে অবসর  সময়ে কাপড় কাটার কাজ করি। প্রতি সপ্তাহে ৫ শত থেকে ৭শত টাকা উপার্জন করি। তা দিয়ে সংসার খরচ করি।

দুলালী রানী বলেন, শাড়ী কাপড় কেটে প্রতি মাসে  প্রায় তিন হাজার টাকার মত  আয় করে থাকি। অভাবের সংসারের দিনমজুর স্বামীর অর্থ উপার্জন দিয়ে সংসার চলে না তাই তিনি ঘরে বসে ২ বছর ধরে কাপড় কাটার কাজ করছেন।

উপজেলার পৌর শেরনগর এলাকার  তাঁত কারখানার মালিক দেলবার হোসেন জানান, প্রতিদিন ২০-৩০ জন নারী আমার কারখানার শাড়ী কাপড় কাটেন। এক সপ্তাহ পর পর প্রতিজন মুজুরি নেন  ৮শ’ থেকে ৯শ টাকা করে।

Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com