উত্তরাঞ্চলের বন্যা থেকে রক্ষা কিভাবে?


অনলাইন ডেস্ক প্রকাশের সময় : ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২৪, ১১:৩২ অপরাহ্ণ /
উত্তরাঞ্চলের বন্যা থেকে রক্ষা কিভাবে?
মোঃ আশিকুল ইসলাম 
পানি প্রবাহের ধরন-প্রক্রিয়া, জলবায়ুর কারণ ও ভৌগলিক অবস্থানগত কাঠামোর ফলে বাংলাদেশ প্রাকৃতিকভাবেই বন্যাপ্রবণ।
 প্রতিবছর উত্তরাঞ্চলের নীলফামারী, লালমনিরহাট, রংপুর, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা ইত্যাদি এলাকায় বন্যা দেখা দেয় কখনো তা ছোট আবার বড়।
প্রতিবছর জুন থেকে সেপ্টেম্বরের এই সময়ে বাংলাদেশে বন্যা মারাত্মক রূপ ধারণ করে। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। বিশেষ করে বিভিন্ন নদ-নদীর তীরবর্তী এলাকার দরিদ্র জনগোষ্ঠী বন্যায় আক্রান্ত হয়। বন্যার পরে এর ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে দারিদ্র্যপীড়িত মানুষ সবসময় নানাবিধ সমস্যা ও কষ্টের সম্মুখীন হয়। শিক্ষার্থীরা তাদের পড়াশোনা থেকে পিছিয়ে পরে, অনেকেই পড়াশোনা এরপর আর করে উঠতে পারে না।
 বন্যা মোকাবেলা করতে নানারকম প্রকল্প বা উদ্যোগ নেওয়া হলেও বন্যা পুরোপুরি রোধ করা সম্ভব হয়ে উঠে না। বন্যার ফলে প্রতিবছরই এসব এলাকার ফসলি জমি প্লাবিত হয়ে ক্ষয়ক্ষতি হয়ে থাকে কৃষকরাও এর ক্ষতির শিকার হয়।কৃষকেরা তাদের ফসল রক্ষা করতে পারে না , অনেকেই নিঃশ হয়ে যায়।
গাইবান্ধা জেলার জাহাঙ্গীর আলম বলেন,তিস্তা নদীর কথা মাথায় আসলে প্রথমেই মনে পড়ে নদী ভাঙ্গন আর বন্যায় অসহায় মানুষের কষ্টের কথা।নদী ভাঙ্গন আর বন্যা যেন তিস্তা পাড়ের মানুষের জীবনের একটা অংশ হয়ে রয়েছে। বন্যায় তিস্তা নদীর দুইকুল ছাপিয়ে পানি উঠে সৃষ্টি হয় বন্যার আর এই সময় নদী ভাঙ্গন দেখা দেয়। বন্যার সময় নদী এলাকার মানুষের যাতায়াতের সমস্যা হয়।জীবন ও জীবিকা নির্বাহের জন্য তারা বড় সমস্যায় পড়ে। বন্যায় নষ্ট হয় ফসলি জমির ফসল ও পুকুরের মাছ।
এই ব্যাপারে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও রিভারাইন পিপলের পরিচালক অধ্যাপক ড. আবু ছালেহ মোহাম্মদ ওয়াদুদুর রহমান (তুহিন ওয়াদুদ) বলেন,
বন্যা তার চেয়ে জলাবদ্ধতা বেশি,উত্তরাঞ্চলের  এখনকার যে বন্যা হয় তার অধিকাংশই গুলোই আসলে এক রকম জলাবদ্ধতা।কোথাও পানির প্রবাহ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে একেবারেই ফলে অল্প বৃষ্টি পানিতে জলাবদ্ধতা বন্যার রুপ দেখা দেয়।
আবার কোথাও কোথাও পানির প্রবাহ সরু করে ফেলা হয়েছে সেখানে জলাবদ্ধতা।আমরা যদি তিস্তাকে দেখি সেখানে ৪০ বছর আগে যে পরিমাণ পানি বহন করতে পারতো নদী এখন তো সেই পরিমাণ পানি বহন করার অবস্থায় নেই।তাহলে পানি তখন বহন করতে পারে না তো সেই পানি উপচে যাবে এটাই স্বাভাবিক ফলে তিস্তার সব বন্যা আসলে বন্যা নয়। আমরা যদি আমাদের নদীগুলোকে উন্মুক্ত করতে পারি, নদীগুলোকে তার পূর্বের প্রবাহে ফেরাতে পারি যদি পানি প্রবাহ অর্থাৎ পানি নেমে যাওয়ার পথটাকে সচল রাখতে পারি তখন বন্যা অনেক কম হবে।
তিনি আরও বলেন, এদিকে বন্যার আরেকটি বড় কারণ হলো তিস্তা একসাথে সব গেট খুলে দেয়া। এতে হঠাৎ বন্যা তৈরি হয়।সেটাও একটা আমাদের এখানকার জন্য ক্ষতি।নদীকে যদি গভীর করা যেত,তাহলে পানিটা ঠিক মতো প্রবাহ হত।
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com