চাষে হাসি ফুটলো কৃষকের মুখে


অনলাইন ডেস্ক প্রকাশের সময় : জুন ২৯, ২০২১, ৪:১৭ অপরাহ্ণ / ০ Views
চাষে হাসি ফুটলো কৃষকের মুখে
আহসান সাকিব হাসান (সম্রাট)লালমনিরহাট!!
লালমনিরহাটে চাষ হচ্ছে ড্রাগন গাছ। এতে ভালো ফলনও ধরেছে।প্রতি কেজি ড্রাগন ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা দরে বিক্রি করতে পারছেন শখের কৃষক মোঃ আবু তালেব।
লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার ৯ নং বড় কমলাবাড়ী ইউনিয়নে কৃষি উদ্যােক্তা মোঃ আবু তালেব,প্রায় দুই বছর আগে শখের বশে  নাটোর থেকে দুই হাজার চারা সংগ্রহ করেন। প্রায় ৬৫ শতাংশ জমিতে তিনি চারা রোপন করেন।এতে তিনি সফলতা পান। তার এ বাগানে দুই হাজার গাছ রয়েছে।এখন প্রতিটি গাছেও ভালো ফলন ধরেছে। ড্রাগন এর পাশা পাশি লাউ তার নিচে আদা পেপে বাগান সহ রাজহাস পালন করেন এই কৃষি উদ্যােক্তা আবু তালেব।
চারা রোপনের সাত থেকে আট মাসের মধ্যে ৮০ হাজার টাকার ড্রাগন ফল বিক্রি করেছেন।এ পযন্ত তিনি টোটাল ড্রাগন ফল বিক্র করেছেন প্রায় তিন লাক্ষ ছাব্বিশ হাজার টাকা। ফলের পাশা পাশি চারা রোপন করে এ বছর ৫ লক্ষ টাকা চারা বিক্রি করেছেন। শশা বিক্রি করেছেন প্রায় ১ লক্ষ টাকা। দশ মাসে লাউ আর আদা বিক্রি করেছেন ৮ লক্ষ টাকা।এবং তিনি আশাবাদী পেপে বিক্রি করে প্রায় ৬/৮ লক্ষ টাকা তিনি লাভবান হবেন।
এদিক মধ্যে ড্রাগন,লাউ, আদা,পেপে,লাগিয়ে রিতিমতো তাক লাগিয়ে দিয়েছেন এলাকাবাসীকে। অনেকেই আবার আবু তালেবের এই সফলতা দেখে রিতিমতো শুরু করেছেন ড্রাগন ফল সহ অন্যান চাষাবাদ।প্রতি নিয়ত ড্রাগন এর বাগানে ভীর জম্মাচ্ছে দুর দুরান্তের লোকেরাও।কেউ আসছে এই অজানা ফলটির বাগান দেখতে।আবার কেউবা আসছেন এই অজানা ফলটি ক্রয়  করার জন্যে।
মোঃ আবু তালেব জানান, সঠিক নিয়মে চারা রোপন করলে কোন পার্শ্ব প্রর্তিক্রিয়া ছারাই ভালো ভাবে চাষ করা সম্ভব যে কোন ফসল।আমি শ্রাম দিয়েছি,ধৈর্য ধরেছি,কখনো হার মানিনি,তাই হয়তো আজ আমি সফল   হতে পেরেছি।
আদিতমারি উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রণবীর চন্দ্র সরকার বলেন,আমরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে সার্বিক তত্ত্বাবধান করতেছি। ফসলের যাবতীয় সমস্যা সমাধানের করণীয় বিষয়ে পরামর্শ করে যাচ্ছি। নিরাপদ সবজি উৎপাদনের জন্য জৈবিক বালাই দমন ব্যবস্থাপনা পরামর্শ প্রদান করিতেছি। যাহা দৃশ্যমান। এবং এটা দেখে আশেপাশের কৃষক নিরাপদ সবজি উৎপাদন করে আসছে। এতে করে কীটনাশকের ব্যবহার কম হচ্ছে। ফলে মানুষ কীটনাশকমুক্ত সবজি খেতে পাচ্ছে।
 আদিতমারি উপজেলার কৃষি অফিসার মোঃ আলিনুর রহমান জানান,লালমনিরহাটে এটি একটি নতুন ফলন,এতে তরুন উদ্যোক্তা সৃষ্টির লক্ষ্যে একটা বড় ভূমিকা রাখবে।এবং এটাতে সে বাণিজ্যিকভাবে সফলতা ছিনিয়ে আনতে পারবে।এ বিষয়ে সাবিক সহয়োগিতা ও পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি অধিদপ্তর।
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com