গুরুদাসপুর উপজেলা পৌরসদরসহ বিভিন্ন বিলে পোষা বক দিয়ে ফাঁদ পেতে বুনো বক, ঘুঘু, পানি হাস শিকার করছে এক ধরনের কৌশলী শিকারিরা। পরে এসব বক প্রকাশ্যে উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে বিক্রি করছে।
রবিবার (১০ অক্টোবর) প্রায় ৭০০ বক, ঘুঘু ও পানি হাস পাখি কয়েকজন অসাধু ব্যক্তি উপজেলার মশিন্দা ইউনিয়ন থেকে ট্রাকে করে ঢাকায় বিক্রির উদ্দেশ্যে পাঠানো হচ্ছে বলে খবর পায় মশিন্দা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিয়ার রহমান বাধনকে খবর দেওয়া হলে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে পাখি গুলোকে বস্তাবন্দি অবস্থায় উদ্ধার করেন। উদ্ধারের পর প্রায় ৭০০টি পাখি স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সহযোগিতায় আকাশে অবমুক্ত করে দেন তিনি। ঘটনাস্থলে ট্রাকের কোন মালিককে পাওয়া যায়নি।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, নাটোর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক নাজমুল, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি শিহাব, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমসহ ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ।
উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিয়ার রহমান বাধন জানান, শীত আসার ঠিক আগ মুহুর্তে চলনবিলসহ বিভিন্ন খাল-বিল ও জলাশয়ে অতিথি পাখি ধরার মহোৎসব চলে। এতে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে,বিলিন হতে চলছে দেশীয় পাখিসহ অতিথি পাখির সংখ্যা। প্রচলিত আইনে পাখি শিকার দন্ডনীয় অপরাধ জেনেও এক শ্রেণীর অসাধু ব্যক্তিরা প্রতিনিয়ত পাখি শিকার করে চলছে। রোববার সন্ধায় মশিন্দা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা খবর দেওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পৌছে দেখাযায় ঢাকাগামী ট্রাকে ঢাকার উদ্দেশ্যে পাঠানো হচ্ছিল ৭০০টি পাখি। ট্রাক থেকে বস্তা বন্দি অবস্থায় পাখি গুলো উদ্ধার করে সব গুলো পাখি আকাশে অবমুক্ত করা হয়েছে। পরিবেশ ও জীববৈচিত্র রক্ষায় উপজেলা ছাত্রলীগের নির্দেশনায় প্রতিটি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে এসক অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং ব্যপক প্রচার-প্রচারণা চালানো হবে।
আপনার মতামত লিখুন :