করোনাকালে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের (অধ্যয়নরত) আর্তনাদ..!


অনলাইন ডেস্ক প্রকাশের সময় : অক্টোবর ১৯, ২০২০, ২:৪০ পূর্বাহ্ণ /
করোনাকালে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের (অধ্যয়নরত) আর্তনাদ..!
সোহেল রানা : করোনাকালে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের (অধ্যয়নরত) অার্তনাদ যেনো শোনার বা দেখার কেউ নেই। সরকার প্রতি বছর কারিগরি শিক্ষার হার বাড়ানাের চেষ্ঠা করছে এবং সেই সাথে কারিগরি শিক্ষার প্রতি বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। কিন্তু এই করােনাকালীন সময়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোন সিদ্ধান্ত বা নির্দেশনা না পাওয়ায় হতবাক শিক্ষার্থীরা। তাঁদের গুনে গুনে দিন কাটাতে হচ্ছে একটি অনিশ্চয়তা মধ্যদিয়ে।
কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষাক্রম ২০১৬-১৭ সেশনের নিয়মিত শিক্ষার্থীরা বর্তমানেও ৮ম পর্বে অধ্যয়নরত। যেখানে  জুন-২০২০ এ নিয়মিত শিক্ষার্থীদের সেশন শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা এখনো অধ্যয়নরতই রয়েছে।
অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতে সরকারি, বেসরকারি কারিগরি প্রতিষ্ঠান সমূহে বিভিন্ন সেক্টরে ৩ মাসের বাস্তব প্রশিক্ষণে অংশগ্রহন করে।বাস্তব প্রশিক্ষণ চলাকালীন মাঝামাঝি সময় দেশে হঠাৎ করোনা পরিস্থিতি দেখা দেওয়ায় সরকারি নির্দেশনা মােতাবেক ১৭ মার্চ হতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহ বন্ধ ঘােষণা করে তা দফায় দফায় বাড়ানাে হয়। সরকারের শেষ নির্দেশনা অনুযায়ী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।
করোনা পরিস্থিতির কারনে শিক্ষার্থীরা সকল প্রকার বাস্তব প্রশিক্ষণ ছেড়ে বাসায় অবস্থান করছে। কোর্সের সময় শেষ হয়ে গেলেও করোনা পরিস্থিতির কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ৮ম পর্বের চুড়ান্ত ভাইভার কোন সিদ্ধান্তই এখনো শিক্ষার্থীদের জানায়নি কারিগরি বোর্ড কর্তৃপক্ষ।
ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীরা (অধ্যয়নরত) তাদের চুড়ান্ত ভাইভা দিতে না পারায় বিভিন্ন সরকারি,বেসরকারি চাকুরীতে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারছে না। তাঁদের পরিবার নিয়ে দিন কাটাচ্ছে অনিশ্চয়তায় মধ্যদিয়ে।
এদিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও জনবল নিয়ােগ বিজ্ঞপ্তি ও এর পরীক্ষা গুলাে থেমে নেই। সকল প্রকার স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিনিয়ত জনবল নিয়ােগ চলছে। সরকারি, আধাসরকারী ও স্বায়ত্ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলাের প্রতিনিয়ত নিয়ােগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হলেও ৮ম পর্ব সম্পন্ন না থাকায় আবেদন করতে পারছে না। সেই সাথে প্রতিনিয়ত এ সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে তাঁরা।
সরকার চাইলেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে শিক্ষার্থীদের ভাইভার প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে পারে।  এটি সম্পন্ন হলে একদিকে যেমন অনিশ্চিয়তা থেকে মুক্তি পাবে ডিপ্লোমা শেষ পর্বের শিক্ষার্থীরা। সেই সাথে মুক্তি পাবে দেশের অনেক বড় একটি অংশ বেকারত্বের হার থেকে।
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com