পাঠক কলাম -দুঃস্বপ্ন


অনলাইন ডেস্ক প্রকাশের সময় : অক্টোবর ৬, ২০২৩, ১১:২৬ অপরাহ্ণ /
পাঠক কলাম -দুঃস্বপ্ন

দুঃস্বপ্ন
-মোছলেহ উদ্দিন মিছির
কত যে বিচিত্র কাহিনীতে পরিপূর্ণ আমাদের এ দেশ। এ দেশের মাটি যেমন উর্বর মানুষের মগজ এবং মন ও তেমনি উর্বর। সে উর্বর মগজটা যদি সত্যিকারভাবে ভাল কাজে লাগানো হতো তবে দেশ ও জাতি কত যে উন্নতি সাধণ হতো। কিন্তু তা না করে মগজকে খাটানো হচ্ছে ভিন্ন কাজে। নারী পুরুষ প্রায় সকলেই মানুষের মঙ্গল করেই না বরং কিভাবে মানুষের ক্ষতি করবে, হেয় করবে সেই চিন্তায় ব্যস্ত থাকে। আমার জানা এবং অত্যন্ত কাছের একজন লোকের কথা না বলে লোভ সামলাতে পারছিনা। তিনি একজন প্রতিষ্ঠান প্রধান। কথায় বলে শিক্ষকরা মানুষ গড়ার কারিগর এ কথা অনস্বীকার্য। প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠান প্রধান তাঁর অফিসের অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মচারীর নিকট সম্মানিত ব্যক্তি। দিনের একটা বড় অংশ একত্রে কাটায় তারা। সুখে দুঃখে একে অন্যের আপনজন। তাদের মধ্যে মান অভিমান, মিল/অমিল, ভাল মন্দের কথোপকথন হয়। থাকে গভীর সম্পর্ক থাকে ভাললাগা, না লাগা। স্বপ্না একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা। এখনো বিয়ে হয়নি। তার কাজ ও একানিষ্ঠতার জন্য প্রধান শিক্ষক তাকে খুব ¯েœহ করেন। স্বপ্না ও প্রধান শিক্ষককে খুব শ্রদ্ধা করেন। তিনি তার প্রিয় ব্যক্তিত্ব। বিদ্যালয়ের যোগদানের পর থেকে অনুগত ভৃত্যের মতোই কাজ করে সে। নিজে নিজেই ভাবে স্বপ্না প্রধান শিক্ষক কে যখন তার শ্রদ্ধায় নত হয়ে যায় নিজে থেকে। কিন্তু ক্রমে তার মধ্যে একটা পরিবর্তন দেখা যায়। স্বপ্না প্রধান শিক্ষক এ ঘটনাকে খুব সতর্ক ভাবে প্রত্যক্ষ করেন। তিনি তার কৌশল অবলম্বন করেই চলতে থাকেন। তিনি পেরেছেন কে বা তারা কানভারী করেছে। স্বপ্নার দুর্বল ও নারী মনে গভীর রেখাপাত করে। সে বুঝতে পারছেনা কি ঘটছে। পাছে যদি কোন বদনাম হয়। যদি কোন বিশ্রী কথা রটে? তা হবে নারী তথা শিক্ষক সমাজের কলংক। সে কেবল ভাবে আর ভাবে। যাকে কিনা এত শ্রদ্ধা না করতাম। যাকে অনেক ভাল জেনেছি তাঁর ভেতর এমন একটা কুৎসিত চরিত্র লুকিয়ে আছে। ভাবতে বিশ্বাস হচ্ছেনা তার। কখনো ভাবে, আসলে মানুষকে বিশ্বাস করা বড়ই কঠিন। তাই নিজের মতো করে চলাই ভাল। একা একা ভাবছে বসে। যখন একা এবং অবসর তখনই বেশী মনে পড়ে কথাগুলি। স্কুল ছুটি হয়েছে। ঘন্টা বাজার পর প্রধান শিক্ষক স্বপ্নাকে তার বাসা হয়ে যেতে বলল। প্রত্যেক অধীনস্থ কর্মচারীই প্রতিষ্ঠান প্রধানের কথা ও নির্দেশ মেনে চলতে হয়। নতুবা শান্তিতে চাকুরী করা মোটেও সম্ভব নয়।
প্রধান শিক্ষক এমনিভাবে বলল যে, মিস স্বপ্না তা কোন ক্রমেই এড়িয়ে যেতে পারেনি। একই সাথে বাসায় গেলে যেতে যেতেই স্বপ্নার মনে কেমন একটা ভয় ভয় লাগছিল। আবার ভাবে কোন মানুষকে নিয়ে যখন খুব বেশী ভাবে তখন বোধ হয় এমন হয়। আমি যা ভাবী এবং যা শুনেছি তা নাও হতে পারে।
সেদিন বাসায় কেউ ছিল না। বাসার অন্যান্য সকলেই বেড়াতে গিয়েছে। তিনি স্বপ্নাকে বসতে বললেন এবং নিজে এমনভাবে বসলেন যেন স্বপ্না ইচ্ছে করলেও বাইরে যেতে না পারে। তিনি মনে মনে চিন্তা করলেন। এ সুযোগ কোনভাবেই হাত ছাড়া করা যায় না। সুযোগ সব সময় আসে না। জানালা আগে থেকেই বন্ধা ছিল। এবার দরজা বন্ধ করে দিলেন।
এ স্বপ্নার সন্দিহান মনে সন্দেহ আরও গভীর হতে লাগল। কিছুই বুঝে উঠতে পারছে না সে। নারী মনের ভীতি নাড়া দিয়ে উঠে। ভয়ে আরও সংকুচিত হয়ে উঠে স্বপ্নার মন। কথা বলতে যেন গলা শুকিয়ে যায়। দুর দুর করে কাঁপছে। বুকের ভিতরটা। ইচ্ছে হয় জোর করে দরজা খুলে বেরিয়ে যায় কিন্তু প্রধান শিক্ষক এমনিভাবে বসেছেন যে বেরুবার কোন পথ নেই।
স্বপ্না প্রশ্ন করে বাসার অন্যরা কোথায়?
বাসায় নেই, বেড়াতে গেছে উত্তরে প্রধান শিক্ষক বলে। সে জন্যই তোমাকে বাসায় এনেছি। আমি যে খুব একা।
মানে? স্বপ্না জিজ্ঞাসা
মানে! মানে অত্যন্ত সহজ। তুমিতো আমাকে নিয়ে অনেক ভাব? তাই না? যদি তাই হয় তবে আমার কথা রাখতে পারনা? আমি কি তোমার কাছে কিছু চাইতে পারি না তোমরা যা চাও আমি তোমাদেরকে তা-ই দেই। যা বলো তাই-ই মানি। তোমরা কি আমার এক দুটো কথা রাখতে পার না? আবদারের স্বরে বলে প্রধান শিক্ষক। যদি না শুন তবে বুঝব পৃথিবীর অন্যান্য মানুষগুলোর মতো তুমি শুধু নিজের স্বার্থ নিয়েই ভাব। তুমিও স্বার্থপর।
আপনিত আমার কাছে কিছু চান নাই। এখন কি চান তা বুঝিয়ে বলবেন তো! আমি আপনাকে কি দিতে হবে?
দেখ স্বপ্না আমাকে নিয়েতো তুমি ভাব তোমাকে নিয়েও আমি ভাবি। তুমি আমাকে একদিন বলেছিলে এই স্কুল ছেড়ে অন্য স্কুলে যাবেন না। আমি তোমার কথা রেখেছি। এবার তুমি আমার কথা রাখ। আমি তোমাকে অনেক কাছের মানুষ ভাবি। এবার তোমাকে আরও কাছে আনতে চাই। তোমাকে নিয়ে কি আমার ভাবার অধিকার নেই?
মানে! আপনি আমাকে কি এজন্য বাসায় এনেছেন? আগে জানলে আমি আসতাম না। শেষ পর্যন্ত আপনি এমন হীন চিন্তা করতে পারলেন? তাহলে সহকারী প্রধান যা বলেছে সবই সত্য? আপনার ভাল মানুষের আড়াল থেকে আসলরূপ বেড়িয়ে আসেন। যাই বলুন আপনার কোন অন্যায় আবদার আমি রাখতে পারব না। আমি শুধু চাকুরী করি। প্রয়োজনে চাকুরী ছেড়ে দেব। তবু…………….।
স্বপ্নার কথা শেষ না হতেই প্রধান শিক্ষক বলে দেখ বেশী কথা বলোন। বেশী কথা বলে কোন লাভ হবে না। সময় নষ্ট করতে পারব না। আমার অধীনে চাকুরী করবে অথচ আমর কোন কথা শুনবে না? বেশী কথা বললে তোমারই বেশী ক্ষতি হবে।
কি ক্ষতি হবে? কি ক্ষতি আপনি করবেন ? এই বলে স্বপ্না তীর্থকভাবে তাকায় প্রধান শিক্ষকের দিকে। জবাবে তিনি বলেন, বেশী হৈচৈ করলে বাইরের মানুষ তা জানবে। তিলকে তাল করে রটনা করে বেড়াবে। এতে কার বেশী ক্ষতি হবে? পুরুষ পুরুষই। সব সময়ই পুরুষ। নারীরা পর্দার আড়ালের মানুষ। পর্দার আড়ালে যা ঘটে ঘটুক। অন্যেতো জানলনা। শোনো আজকে এখানে যা ঘটার ঘটুক তা তোমার আমার মাঝেই সীমাবদ্ধ থাকুক। তুমিও ত ছোট মানুষ নও, এবার কিছু এনজয় করো। কিছু উপভোগ করো। শিক্ষক শিক্ষকই। যা-ই করুক না কেনো অন্য কেউই জানকে পারলে শিক্ষকদের বারোটা বাজিয়ে দেবে। একজনের দোষে পুরো শিক্ষক সমাজটাই কলঙ্কিত হবে। তোমার কাছে যারা আমার কুৎসা রটিয়েছে তারা সবাই ফেরেস্তা। সে ফেরেস্তাদের কথা আমি কিছু বলতে চাই না। বলবো না। আমি কেবল আমাকে নিয়ে ভাবি অন্য কাউকে না। অন্যের মন্দটা নিয়ে এতো ভাবার ফুরসৎ আমার নেই। তুমি যেমন আমাকে নিয়ে ভাবো আমিও ঠিক তেমনি। তুমিই আমাকে ভাবিয়ে তুলেছো।

দুঃখে ক্ষোভে কেঁদে ফেলে স্বপ্না। বলে, মানুষ না হয় না দেখলো, না জানলো। ভগমানের চুখতো অন্ধ নয়। তিনি সব দেখেন, সব জানেন।

ঃ রাখ তোমার ভগমান। ভগমানের বুঝি আর খেয়ে দেয়ে কাজ নেই। তোমার আমার বেলায় শুধু ভগমান। পৃথিবীতে কী আর অন্য সবাই ভালো মানুষ? কেঁদে কেটে কোনো লাভ নেই। এই মুহূর্তে তুমি শুধু আমার। যেতে চাও যদি যাও। একটা ছুরা স্বপ্নার হাতে দিয়ে বললেন- এ ছুরি দিয়ে আমাকে হত্যা করো তারপর চলে যাও। তোমাকে কেউ বাঁধা দেবে না। পারবে না?

স্বপ্না কিংর্কতব্যবিমুঢ় হয়ে তাকিয়ে আছে।
পারবেই না যখন তখন আমার কথাই মেনে নায়। তুমি নারী। তোমার মন কোমল। তুমি শক্ত হতে পারবে না।

আজকালতো অনেক ছেলে মেয়েই গোপনে কতো কিছু করে থাকে। কেউ জানে না সে কথা। আজকের ঘটনাটাও মনে করো তেমন। লোক জানাজানি না করে গোপনে সব হয়ে গেলো। ঘটা করে বিয়েতো লোক জানাজানি মাত্র। লোক জানাজানি করে, হৈ হুল্লোর করা এটাতো লৌকিকতা মাত্র। আসল ব্যাপারতো মনের মিল। মনের মিল না হলে এ লোক দেখানো আনুষ্ঠানিকতা দিয়ে কি লাভ? বরং বিষিয়ে তোলে দুটি মন। একে অন্যকে সহ্য করতে পারে না। সংসার হয় অশান্তির। সারাজীবন জ্বালিয়ে পুড়িয়ে শেষ করে দুটি জীবন। যন্ত্রণা যখন সহ্যের বাইরে চলে যায় পুরুষ হয় দেশান্তর আর নারী খায় বিষ। এইতো আমাদের সমাজ।

এবার মুখ খুলে স্বপ্না বলে, আপনারতো ছেলে মেয়ে আছে। সংসার আছে। তবে আমাকে দিয়ে কি করবেন? আমার জীবনটা ধ্বংশ করাই কি আপনার চিন্তা? আমি কোনদিনও আপনাকে এমন করে ভাবিনী। আর কোন কথা না বলে নিরবে বসে থাকে স্বপ্না। নিরুপায় হয়ে মনের দুঃখে ভয়ে অশ্রæ ফেলতে থাকে।
নীরবতাই সম্মতির লক্ষণ। তিনি স্বপ্নার খুব কাছে গিয়ে বসেন। শিউরে উঠে স্বপ্না । কেঁপে উঠে তার মন। ক্ষুধার্ত সিংহের থাবায় পড়ে অসহায় হরিণ শাবক যেমন শেষ আর্তনাদ করে উঠে তেমনি দুঃসহ যন্ত্রণায় স্বপ্না নীরব চিৎকার করে উঠে। দুহাতে মুখ ঠেকে বসে থাকে। একটা অসহায় দীর্ঘশ্বাস বেড়িয়ে আসে তার। কিছুক্ষণ একদৃষ্টে তাকিয়ে থাকেন প্রধান শিক্ষক স্বপ্নার অসহায় মুখের পানে। আনমনা হয়ে মনে মনে বললেন, এইতো নারী। বিভেকহীণ সমাজের অগোচরে নারীরা পুরুষের লালসার শ্বীকার হচ্ছে। মিথ্যা প্রলোভন ভয় দেখিয়ে, এমনি করে কলঙ্কের কালিমায় ঢেকে দিচ্ছে কতো নারীর জীবন। লজ্জায় ও অপবাদের ভয়ে আত্মহনন করে সুন্দর জীবনটাকে নিঃশেষ করে চির বিদায় নিচ্ছে পৃথিবী থেকে। নিজেকে আড়াল করে নীরবে সয়ে বেড়ায় পুরুষের অন্যায় আচারণ। প্রতিবাদ করলে নারী হয় কলঙ্কিনী আর পুরুষ হয় বিচারক। আজ আমার সামনে অসহায় নারীই তার প্রমাণ। কতো অসহায় আজ সে। তার শ্লীলতাহানী হলে সে কি কাউকে বলতে পারবে? পারবে না। কিন্তু তিলে তিলে জ্বলে পুড়ে শেষ হবে। ঘৃণা ও ধিককার দেবে আমাকে জীবনভর। নিজের কাছে সব সময় নিজে দুর্বল থাকবে সামান্যতম আচরও যদি তার শরীরে লাগে তবে আমার প্রতি তার মিথ্যা সন্দেহ সত্যি হয়ে যাবে। আমার পরীক্ষা এখানেই শেষ।
তিনি সরে এলেন স্বপ্নার কাছে থেকে। ধীর ও শান্ত স্বরে ডাকলেন স্বপ্না। স্বপ্না কোন উত্তর দিল না। আবার ডাকলেন, স্বপ্না দেখো, তোমার স্যারকে। যারা তোমার নিকট আমার দুর্নাম রটনাতে ব্যস্ত তাদের কথাইতো তুমি শুনলে। এ হীনমনা মানুষগুলোর কথাইতো তুমি বিশ্বাস করলে। তমি আমাকে সন্দেহর চোখে দেখলে। যাক, যা হবার তাই হোক। ইচ্ছে করলে তুমি এবার যেতে পারো। তবে একটা কথা মনে রেখো, শিক্ষকেরা জাতীর বিবেক। প্রকৃত শিক্ষক মাত্রই গর্হিত কাজ থেকে মুক্ত। বিবেকহীন, চরিত্রহীন শিক্ষকযে এ সমাজে নেই তা কিন্তু নয়। শিক্ষকতা ব্রত যারা গ্রহণ করেণ তাঁদের চরিত্র হবে পূত-পবিত্র। তাঁদের চরিত্র হবে অনুপম আদর্শে ভরা। তারা হবেন সমাজের শিক্ষক, জাতিরও শিক্ষক। মানুষ আজও দ্বিধাহীনচিত্তে শিক্ষদেরই কথা মানে ও অনুসরণ করে।
মুখমন্ডল হতে হাত সরিয়ে চোখ খুলে স্বপ্না। তার শরীর তখনো কাঁপছে। কথা বলতে পারছেনা। কেবল বিহŸবলের মতো তাকিয়ে আছে।
তোমার স্যার একজন খারাপ লোক তাইনা? তুমি কি করে এমনটা ভাবতে পারলে বলতো। আমিতো তোমাকে কম ¯েœহ করিনি? এই ¯েœহটা দুর্বলতা কে ভেবে নিয়েছ? তাই না? তিনি আরো বলে চলেন,
কি ভাবছো তোমরা আমাকে? স্বার্থপর লোকেরা নিজের চরিত্র দিয়ে অন্যকে যাচাই করে। কুৎসা রটায়। একবার ভেবেও দেখেনা বাইরের মানুষ তাদের কি বলছে।
তুমি পরবর্তী কি ভাববে আমি জানিনা তবে তোমার স্যার কারো ক্ষতি করে না। তবে তোমার স্যার কারো ক্ষতি করে না, কারো সর্বনাশ করে না। যারা মানুষ, যাদের মধ্যে মনুষ্যত্ব আছে তাঁরা কখনো পশুর আচারণ করতে পারে না। মানুষ নামের পশুগুলোই কেবল পশুর আচারণ করতে পারে। মানুষ শুধুই মানুষ। সৃষ্টির সেরা জীব।
নিজের ভুল বুঝতে পারা স্বপ্না। কান্নাজড়িত কন্ঠে বলে, আমি ওদের কথা বুঝতে পারিনি স্যার। আমার ভুল হয়ে গেছে। আপনাকে আমি মিথ্যা সন্দেহ করিছি। আমাকে ক্ষমা করুন। এ বলে সে স্যারের পা ছঁয়ে ক্ষমা চায়।
অনেক সময় চলে গেছে। তোমাকে পথ এগিয়ে দিয়ে আসি। দরজা খুলে রাস্তায় উঠে দুজন। রাস্তার মাথায় এসে প্রধান শিক্ষক বিদায় দিলেন স্বপ্নাকে। স্বপ্না পিছনে ফিরে বলল, নমস্কার……………….।
ঘুম ভেঙ্গে যায় স্বপ্নার। তখনো শরীর কাঁপছে। কেমন ভয়ভয় করছে। বিছানা ছেড়ে উঠে। আলো জ্বালিয়ে চারিদিকে তাকায়। ভালো করে নিজেকে দেখে নেয়। গলা শুকিয়ে গেছে। ডগ ডগ করে একগøাস পানি গিলে নেয়। কিছু সময় একা একা বসে থাকে। টেবিলের উপর একটি বইয়ের পাতা উল্টাতে থাকে আনমনা হয়ে। তারপর উঠে গিয়ে বিছানায় শুয়ে পড়ে।

Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com