মোঃ রতন মিয়া, পীরগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি
রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলায় আসন্ন কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে খামারগুলোতে প্রস্তুত রাখা হয়েছে প্রায় ৬৯ হাজার গবাদিপশু। খামারিরা এখন পশু মোটাতাজাকরণে ব্যস্ত সময় পার করছেন, যাতে ভালো দাম পেয়ে লাভবান হওয়া যায়।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ ফজলুল কবীর জানান, “পীরগঞ্জের খামারিরা এখন অনেক সচেতন। তারা স্বাস্থ্যসম্মত ও নিরাপদ উপায়ে পশু মোটাতাজাকরণে আগ্রহী। আমরা নিয়মিত খামার পরিদর্শন করছি এবং পরামর্শ দিচ্ছি।”
উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে খামারিরা প্রাকৃতিক খাদ্যে পশু মোটাতাজা করছেন। ধুলগাড়ি গ্রামের খামারি মাহমুদুন-নবী চৌধুরী পলাশ বলেন, “আমরা রাসায়নিক ব্যবহার না করে খইল, ভুষি, গুঁড় ও ঘাসের মাধ্যমে গরুগুলোকে সুস্থভাবে লালন করছি।”
ধনাশালা ও ধুলগাড়ি গ্রামের খামারি মিল্লাত জাহান ও লাবু চৌধুরী বলেন, “ভারত থেকে গরু না এলে স্থানীয় খামারিরা উপকৃত হবেন। তবে পশু পালনে খরচ বেড়েছে—খাদ্য, ওষুধ, শ্রমিকের মজুরি সবকিছুর দামই এখন বেশি। সে কারণে আমাদের একটু বেশি দাম রাখতে হয়।”
প্রায় ৬৯ হাজার পশুর মধ্যে অধিকাংশই গরু। প্রশাসন ও প্রাণিসম্পদ বিভাগ পশুর হাট ও পরিবহন ব্যবস্থাপনায় পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। খামারিরা আশাবাদী, এবার চাহিদা বেশি থাকলে পশুর ভালো দাম পাওয়া যাবে।
আপনার মতামত লিখুন :