এম ফাহিম. মুক্তি চরফ্যাশন–
ভোলার চরফ্যাসন উপজেলায় ৬ সন্তানের জননী এক নারী তার স্বামীকে ছেড়ে তিন সন্তানসহ পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। স্বামী ইয়াকুব মিস্ত্রির দাবি, ইউএনও’র অফিস সহকারী সোহাগ এবং প্রেমিক মুরাদের ষড়যন্ত্রে তার স্ত্রী বাড়ি ছেড়ে গেছেন। এই ঘটনায় থানায় জিডি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করা হয়েছে।
জানা গেছে, গত ২৫ জুন ইয়াকুব মিস্ত্রি চরফ্যাসন থানায় জিডি করেন। পরে তার ছেলে ইয়াছিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে মায়ের সন্ধান চেয়ে আবেদন করেন। পুলিশ ওই নারীকে রবিবার থানায় নিয়ে আসে।
চরফ্যাসন থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান হাওলাদার বলেন,“আমরা উদ্ধার করিনি, ওই নারী নিজেই থানায় এসেছেন। তিনি মুরাদকে বিয়ে করেছেন এবং তার স্বামীকে তালাক দিয়েছেন। বিয়ের প্রমাণ এক মাস পর দিবেন বলে জানিয়েছেন।”
তবে স্বামী ইয়াকুব মিস্ত্রির দাবি,“থানায় মামলা করতে গেলে ওসি মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে মামলা না নিয়ে আমাকে গ্রাম আদালতে যেতে বলেন। ৬ সন্তানের মধ্যে ৩ সন্তান আমার স্ত্রী ও মুরাদকে, আর ৩ সন্তান আমাকে দিয়ে ভাগ করে দেন।”
তিনি আরও বলেন,“১৯ বছরের সংসার জীবনে স্ত্রীকে সব দিয়েছি। বিশ্বাসের জায়গায় আঘাত করে সে আমাকে ও সন্তানদের ফেলে পালিয়ে গেছে। আমি সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।”
তার ছেলে ইয়াছিনও একই অভিযোগ করে বলেন, ইউএনও অফিসের সোহাগ মুরাদের পক্ষ নিয়ে তার মাকে লোভনীয় প্রস্তাব দিয়ে প্রলুব্ধ করেছেন।
অন্যদিকে স্ত্রী আয়েশা সংবাদকর্মীদের বলেন,“আমি স্বামীর কাছে ভালো ছিলাম না। তাই প্রেমিক মুরাদের সঙ্গে বিয়ে করে থানায় আইনি সহায়তা নিতে এসেছি।”
অভিযুক্ত মুরাদ আত্মগোপনে থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।অভিযুক্ত অফিস সহকারী সোহাগ দাবি করেছেন,“এই ঘটনায় আমি জড়িত নই। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে।”
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাসনা শারমিন মিথি বলেন,“এ বিষয়ে অফিস সহকারী সোহাগকে জড়িয়ে অভিযোগ পেয়েছি। থানার ওসিকে বিষয়টি তদন্ত ও মিমাংসার দায়িত্ব দিয়েছি।”
আপনার মতামত লিখুন :