নড়াইল জেলা প্রতিনিধি।

নড়াইলের কালিয়া উপজেলার পিরোলী গ্রামে একটি হত্যাকাণ্ডের জেরে ভিটেমাটি ছাড়া শতাধিক মানুষ পুলিশ সুপারের কাছে বাড়ি ফেরার আকুতি নিয়ে তার কার্যালয়ে সমবেত হন। সোমবার (১৫ এপ্রিল) নানান বয়সের ভুক্তভোগীরা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আসেন। এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। এদিকে আজাদ হত্যা মামলার ছয় আসামি বাদে সবাই আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন।

ভুক্তভোগীরা বলেন, নড়াইলের কালিয়া উপজেলার পিরোলী গ্রামের ইউনিয়ন যুবলীগ সদস্য আজাদ শেখ খুলনা থেকে বাড়ি ফেরার পথে ৩-৪ জন দুর্বৃত্তর হাতে নিহত হয়। এ হত্যাকাণ্ডের আসামি ২০ জন হলেও গ্রামের প্রায় ৩০০ পরিবারের বাড়ি-ঘরে স্মরণকালের ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে তাদের গ্রামছাড়া করা হয়। সেই থেকে বাড়ি-ঘরে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে না পেরে ৯ মাস পরিবার-পরিজনসহ মানবেতর জীবন যাপন করছেন স্থানীয়রা। এ অবস্থা থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার আকুতি নিয়ে সোমবার দুপুরে ভুক্তভোগীরা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে ধর্না দেয়। এ সময় তারা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন।

স্থানীয়রা বলেন, স্কুল ও কলেজে পডুয়া ছেলে-মেয়েরা ঘরে থাকতে না পারায় তাদের পড়ালেখা শেষ হতে বসেছে। তারা বাড়ি ফিরতে চায় এবং আবার লেখাপড়া করার পরিবেশ চায়। পরে তারা পুলিশ সুপার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়ে ফিরে যান।

এবিষয়ে পুলিশ সুপার মো. মেহেদী হাসান বলেন, দ্রুত তাদের বাড়ি-ঘরে থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। এটা নড়াইলের একটা ট্রেডিশন যে আসামি পক্ষের বাড়ি-ঘর ভাংচুর করা হয়। যাতে এগুলো আর না হয় সে ব্যাপারে কাজ করা হবে।