ভুয়া পোষ্য কোঠায় চাকুরী নেয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে


অনলাইন ডেস্ক প্রকাশের সময় : এপ্রিল ১৪, ২০২৪, ৪:৪৯ পূর্বাহ্ণ /
ভুয়া পোষ্য কোঠায় চাকুরী নেয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে

মাজারুল ইসলাম,লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার ধুবনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুলতান আহমেদ শিপু’র বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্যে চাকুরী নেওয়া ও তার নানা প্রকার দুর্নীতি এবং অসৎকার্যকলাপের বিরুদ্ধে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) বরাবরে অভিযোগ সহ বিভিন্ন দপ্তরে অনুলিপি দিয়েছেন হাতীবান্ধা উপজেলা প্রাইমারী পোষ্য অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সুলতান মাসুদ।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রধান  শিক্ষক সুলতান আহমেদ শিপু ২০১২ সালের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি মোতাবেক প্রধান শিক্ষক পদে যোগদান করে। তিনি উপজেলার অবসর প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফজলুল হকের পুত্র। সে মোতাবেক তিনি হাতীবান্ধা  উপজেলা শিক্ষা অফিস হতে পোষ্য সনদ গ্রহণ করেন। অথচ উক্ত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ১৯ নম্বর শর্তে উল্লেখ ছিল কেহ বিবাহ করিলে তিনি পোষ্য সনদ প্রাপ্য হবেন না। তার সন্তান সাহিত্য উক্ত সময় হাতীবান্ধা ২নং মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২য় শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল যার রোল নম্বর ৯৩ এবং তার সন্তানের জন্ম তারিখ ২৮ ডিসেম্বর ২০০৭, জন্ম নিবন্ধন নং-১৬৫১০, বহি নং-৪, নিবন্ধনের তারিখ ২০ জুন ২০১৪, মায়ের নাম তানজিমা আক্তার যার সত্যতা স্থানীয় সিংগীমারী ইউনিয়ন পরিষদে আছে বলে দাবী করা হয় অভিযোগে।
পরবর্তীতে প্রধান শিক্ষকের মেয়ে সাহিত্য এস এস সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় হতে এসএসসি পাস করেন এবং সবখানে উক্ত মেয়ের পিতার নাম সুলতান আহমেদ (শিপু) কিন্তু তিনি বাবা হয়েও উক্ত মেয়েকে তার দত্তক নেওয়া হয়েছে বলে দাবী করেন বিভিন্ন জনের কাছে যা অভিযোগপত্র সুত্রে জানা যায়।
তার স্ত্রীর আরো সন্তান আছে। উক্ত প্রধান শিক্ষক সুলতান আহমেদ (শিপু) চাকুরীতে যোগদানের পর থেকেই যে স্কুলে গেছেন সেখানে সরকারি উন্নয়ন বরাদ্দের অর্থ আত্মসাৎ সহ নানা ধরনের কেলেঙ্কারীতে জড়িয়েছেন। এমনকি শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানী করেছেন। বর্তমান বিদ্যালয়ের অবসর প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফাতেমা বেগম এর সাথেও অসৎ আচরণ করে তাকে যথেষ্ট হেনাস্থা করেছেন তিনি। শুধুমাত্র তথ্য গোপন করেই নয় ভুয়া শিক্ষকতার প্রত্যয়ন গ্রহণ করেছেন হাতীবান্ধা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় হতে। উক্ত সুলতান আহমেদ (শিপু) শুধু ভুয়া তথ্যই নয় সে হাতীবান্ধা থানার জি আর মামলা নং-২৬/১৯৯৮ এর এক জন আসামী ছিলেন।
তার বিরুদ্ধে হাতীবান্ধা থানায় বিগত ২২ জুলাই ১৯৯৮ তারিখের মামলা নং- ৩ এবং  ২৫ এপ্রিল ১৯৯৮ এর অভিযোগ নং-৪ রুজু করা যায় যা অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা আছে।
এছাড়াও উল্লেখ্য যে তিনি নিজ কর্মস্থল সহ বিভিন্ন জায়গায় পেশি শক্তি ও অশিক্ষক সূলভ আচরণ তার পুরোনো গুন্ডামীর পরিচয় দিয়ে আসেন। ইতি পূর্বে তার বিরুদ্ধে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ঢাকা স্মারক নং- ৩৮.১০৫.০২৭.০০.০০০১৩.২০১১-৬২ তারিখ ০৮/০২/২০১৬ মোতাবেক একটি তদন্ত পরিচালিত হয় সেখানে বিভিন্ন ভাবে মানুষ জনকে ভয়ভীতি দেখিয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তার সামনে মিথ্য স্বাক্ষী হাজির করে সেবারের মত পারপায়। তার বিরুদ্ধে হাতীবান্ধা থানায় ব্যাপক অভিযোগ আছে যা নিরুপেক্ষ তদন্ত করলে সত্যতা মিলবে বলে দাবী করেছেন অভিযোগকারী।
তবে সকল অভিযোগ অস্বীকার করে প্রধান শিক্ষক  সুলতান আহম্মেদ শিপু বলেন, এরকম অভিযোগ আরও অনেক হয়েছে। যিনি অভিযোগ করেছেন উনাকে সামনে নিয়ে আসেন তখন আমি এ বিষয়ে বিস্তারিত বলবো।
এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা স্বপন কুমার রায় চৌধুরী বলেন,প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে দ্রুততম সময়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com