মোঃ জাওয়াদ,ঢাকা
বাংলাদেশের শিক্ষার্থী-কেন্দ্রিক গবেষণায় এক যুগান্তকারী মাইলফলক স্থাপন করেছে মহাকাশ আবাসন প্রকল্প “আউটার স্পেস হ্যাবিটেশন (OSH)”। এটি দেশের প্রথম জ্যোতির্বিজ্ঞানভিত্তিক মহাকাশ আবাসন প্রকল্প, যা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রশংসিত এবং স্বীকৃত হয়েছে।
সম্পূর্ণ স্বাধীন গবেষণার ভিত্তিতে পরিচালিত এই প্রকল্পে পৃথিবীর বাইরে টেকসই মানব বসবাসের সম্ভাবনা তুলে ধরা হয়েছে। OSH প্রকল্পে প্রয়োগ করা হয়েছে আধুনিক বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তি ও ধারণা, যার মধ্যে রয়েছে:
সায়ানোব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে অক্সিজেন উৎপাদন
হাইড্রোপনিক কৃষি
মঙ্গলগ্রহের মাটি বিশুদ্ধকরণ
পানি পুনঃব্যবহার ব্যবস্থা
সম্পূর্ণ বদ্ধ জীবন-সমর্থন প্রযুক্তি
এইসব প্রযুক্তির সমন্বয়ে একটি আত্মনির্ভরশীল মহাকাশ আবাসন কাঠামোর ভিত্তি গড়ে তোলা হয়েছে।
প্রকল্পের নেতৃত্বে ছিলেন আবির খান (মোহাম্মদপুর সরকারি কলেজ) এবং মোহাম্মদ আলী মিশাল (সরকারি বিজ্ঞান কলেজ)। তাদের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন নটর ডেম কলেজ, ঢাকা সিটি কলেজ এবং আইডিয়াল কলেজের মেধাবী শিক্ষার্থীরা।
অর্জন ও স্বীকৃতি:
OSH প্রকল্পটি ইতোমধ্যেই ৫০টিরও বেশি জাতীয় এবং ৫টির অধিক আন্তর্জাতিক পুরস্কার ও স্বীকৃতি অর্জন করেছে। অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতনামা গবেষণা সংস্থা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকেও প্রকল্পটি প্রশংসিত হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের দৃষ্টিভঙ্গি:
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, OSH শুধু একটি শিক্ষার্থী-নির্ভর বৈজ্ঞানিক গবেষণা নয়, বরং এটি বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থার জন্য এক গর্বের বিষয়। এটি প্রমাণ করে যে, সঠিক দিকনির্দেশনা ও দলগত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের তরুণরা বৈশ্বিক বিজ্ঞানচর্চায় নেতৃত্ব দেওয়ার সক্ষমতা রাখে।
বিশ্লেষকদের মতে, “আউটার স্পেস হ্যাবিটেশন” প্রকল্পটি ভবিষ্যতের পৃথিবী-পরবর্তী মানব জীবনের সম্ভাবনার প্রতি বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের দূরদর্শী দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন। এটি নিঃসন্দেহে একটি বৈজ্ঞানিক অর্জন এবং জাতীয় অনুপ্রেরণার উৎস।
আপনার মতামত লিখুন :