এম ফাহিম, চরফ্যাসন (ভোলা)
ভোলা জেলার চরফ্যাসন উপজেলায় আসন্ন কোরবানির ঈদ উপলক্ষে প্রস্তুত করা হয়েছে ২৫ হাজার ৫১টি গবাদি পশু। এর মধ্যে রয়েছে ১৮৬টি গরুর খামার, ৮২টি মহিষের খামার এবং ২৪টি ছাগলের খামারের পশু। উপজেলায় চাহিদা রয়েছে ২২ হাজার ৪৬৬টি পশুর, ফলে চাহিদার তুলনায় অতিরিক্ত রয়েছে ২ হাজার ৬২৫টি পশু, যা দেশের অন্যান্য অঞ্চলে সরবরাহ করা সম্ভব হবে।
সরেজমিনে চরফ্যাসন সদর পশুর হাট, চেয়ারম্যান বাজার এবং দুলারহাট পশুর হাট ঘুরে দেখা যায়, গৃহস্থ ও খামারি এবং বেপারীরা পশু কেনাবেচায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। বাজারে ক্রেতারাও ব্যাপক উপস্থিতি দেখিয়েছেন। দুলারহাট বাজারে ক্রেতা কবির খান জানান,
“শুক্রবার দুলারহাট বাজারে সবচেয়ে বেশি গরু কেনাবেচা হয়। গত ঈদে যে গরু ১ লাখে বিক্রি হয়েছে, এবার ৮০-৯০ হাজারে কেনা যাচ্ছে। দেশের অন্যান্য জেলা থেকে পশু আসা শুরু করলে দাম আরও কমবে।”
চরফ্যাসন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. রাজন আলী জানান,
“উপজেলার ১৮৬টি গরুর খামার, ৮২টি মহিষের খামার এবং ২৪টি ছাগলের খামারে পশু প্রস্তুত রয়েছে। এসব পশুর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে প্রতিদিন ৭টি ভ্রাম্যমাণ মেডিকেল টিম মাঠে কাজ করছে।”
তিনি আরও বলেন, “চরফ্যাসনের দেশি গরু স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা যাবে।”
দুলারহাট থানার নীলকমল ইউনিয়নের খামারি মো. বিল্লাল জানান, “এবছর দেশি ও বিদেশি বিভিন্ন জাতের গরু প্রস্তুত করেছি। তবে খৈল, কুঁড়া, খড়সহ পশু খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় কিছুটা সমস্যায় পড়েছি। ভালো দাম পেলে লাভবান হবো।”
উপজেলার ২১টি ইউনিয়ন এবং ১টি পৌরসভার পশুর চাহিদা মিটিয়ে অতিরিক্ত পশু সরবরাহে খামারিরা ইতোমধ্যে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন।
আপনার মতামত লিখুন :