বেলকুচিতে ব্যানারে এমপির নাম না থাকাকে কেন্দ্র করে দলের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে  আহত ৫


অনলাইন ডেস্ক প্রকাশের সময় : মার্চ ১৭, ২০২৩, ১০:৫৭ অপরাহ্ণ /
বেলকুচিতে ব্যানারে এমপির নাম না থাকাকে কেন্দ্র করে দলের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে  আহত ৫
সবুজ সরকার বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতিয় শিশু দিবস উপলক্ষে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে ফুল দেয়া ও ব্যানারে এমপির নাম না থাকাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় এমপি ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল মমিন মন্ডল এবং সাবেক পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক বেগম আশানুর বিশ্বাসের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে  বাধলে উভয় পক্ষের ৫ জন আহত হয়েছে। আহতদের বেলকুচি সদর হাসপাতালে চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। তবে দলীয় ব্যানারে এমপির নাম না থাকাকে কেন্দ্রকরে ব্যানার ছিরে ফেলা আর হামলার ঘটনায় স্থানীয় এমপির উপর ক্ষুদ্য উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রবীন নেতাকর্মীরা।
বেলকুচি থানার অফিসার ইনচার্জ আসলাম হোসেন জানান, সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে জাতির পিতার জন্মদিন উপলক্ষে উপজেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে স্থানীয় এমপি ও দলীয় নেতা কর্মীরা জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন শেষে দলীয় কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুলে দেয়ার প্রস্তুতি কালে দলীয় কার্যালয়ে টানানো ব্যানারে এমপির নাম না থাকাকে কেন্দ্রকরে কথা কাটাকাটির এক পর্যায় সংঘর্সে লিপ্ত হয়। আমরা আইনশৃখলা বাহিনি দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসি। উভয় গ্রুপকেই দলীয় কার্যালয় থেকে সরিয়ে দেই। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে।
বেলকুচি উপজেলা আওয়ামীলগের সাধারন সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র বেগম আশানুর বিশ্বাস বলেন, আমরা নেতা কর্মীদের নিয়ে সকাল পৌনে ৭ টার দিকে দলীয় কার্যালয়ে উপস্থিত হই। সকাল ৭ টার দিকে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও স্থানীয় এমপি আব্দুল মমিন মন্ডল আসার পর জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করি। এবপর আমরা দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মাল্যপ্রদান ও পুস্পস্তব অর্পনের পূর্বেই দলীয় কার্যালয়ে টানানো ব্যানারে এমপির নাম না থাকাকে কেন্দ্র করে এমপির লোকজন আমার উপর চরাও হয়। আমি বলি এটা দলের ব্যানার এখানে শুধু বঙ্গবন্ধু ও জননেত্রীর ছবি আর নাম থাকবে। নিচে আয়োজনে উপজেলা আওয়ামীলীগ লেখা রয়েছে। কিন্তু তারা সেটা মানতে নারাজ। উত্তেজিত হয়ে ব্যানার ছিরে ফেলে এবং আমার সমর্থকদের উপর হামলা করলে। সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কামাল হোসেন, অলিভ মন্ডল, রুবেল হোসেন গুরুতর আহত হলে আমি তারাতারি তাদের হাসপাতালে পাঠিয়ে দেই। তবে এই ছোট্ট বিষয়কে কেন্দ্র করে এমপির এমন আচরন আমি আশাকরিনি। আমি বিষয়টি দলের উদ্ধতন নেতাদের জানাবো।
এবিষয়ে এমপির ব্যাক্তিগত সহকারী সেলিম সরকার বলেন, সকালে এমপি মহদয় দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের পর কার্যলয়ের ভিতরে গিয়ে দেখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের ব্যানারে তার নাম নেই। তখন বিষয়টি দলের সাধানর সম্পাদকের কাছে জানতে চাইলে আশানুর বিশ্বাসের কিছু লোকজন কথাটি নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি করলে উভয়ের সমর্থকদের মাঝে সামান্য হাতা হাতি হলে পুলিশ তাতক্ষণিক নিয়ন্তন করে। পরে আমরা দলীয় কার্যালয় থেকে বের হয়ে কলেজ মোড়ে বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে পুস্পস্তপ অর্পন করি ও উপজেলা অডিটোরিয়ারে আলোচনা সভায় অংশগ্রহন করি।
সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি কেএম হোসেন আলী হাসান বলেন, আজকের এই দিনে বেলকুচি উপজেলা আওয়ামীলগের দলীয় কার্যালয়ে যে ঘটনা ঘটেছে তা অত্যান্ত দু:খজনক। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখে অবশ্যই ব্যবস্থা নেবো।
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com