সালথায় গ্রাম্য দলাদলি নিয়ে সংঘর্ষে আহত- ২০, আটক- ১১


অনলাইন ডেস্ক প্রকাশের সময় : মার্চ ১৮, ২০২৪, ৭:০৯ অপরাহ্ণ /
সালথায় গ্রাম্য দলাদলি নিয়ে সংঘর্ষে আহত- ২০, আটক- ১১
আরিফুল ইসলাম, সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি:
ফরিদপুরের সালথায় গ্রাম্য দলাদলি নিয়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই দলের সংঘর্ষে ২০ জন আহত হবার খবর পাওয়া গেছে। রবিবার (১৭ মার্চ) সন্ধ্যা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত উপজেলার রামকান্তপুর ইউনিয়নের মদনদিয়া গ্রামে এ সংঘর্ষ চলে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় বেশ কয়েকটি বাড়ি-ঘর ও একটি দোকান ভাঙচুর করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে গুলি ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় উভয় গ্রুপের ১১ জনকে আটক করা হয়েছে। সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মদনদিয়া গ্রামের ওমর ফারুক ও বাসার মাস্টার কিছুদিন আগে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি ইমারত হোসেন পিকুল মোল্লার দল ত্যাগ করে রামকান্তপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা কৃষকলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইশারত হোসেনের দলে যোগদান করায় শুক্রবার পিকুল মোল্লার বাড়ির সামনে দিয়ে ওমর ফারুক বাড়ি ফেরার পথে পিকুল মোল্লা ও তার লোকজনের সাথে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
রবিবার সন্ধ্যায় ইশারত চেয়ারম্যানের বাবা হাজী আবুল কালাম, চাচা আজিজাল, ভাই রাকিবুল ইসলাম কুব্বত নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় মিরাজ মোল্যার দোকানের সামনে পিকুল মোল্লার সাথে কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। বিষয়টি জানাজানি হলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে দুই পক্ষের সমর্থকেরা দেশীয় অস্ত্র, লাঠিসোঁটা নিয়ে একে অপরের ওপর হামলা চালালে সংঘর্ষ শুরু হয়। উভয়পক্ষের ২০ জন আহত হয়। গুরুত আহতদের উদ্ধার করে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ভর্তি করা হয়েছে এবং কয়েকজনকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এসময় কয়েকটি বাড়ি-ঘর ও একটি দোকান ঘর ভাঙচুর করা হয়।
সালথা থানা সূত্রে জানা গেছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ একাধিক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এসময় ঘটনাস্থল থেকে ৬টি টেটা, ১০টি কাতরা, ১১ টি বাঁশের লাঠি, ৫ টি ঢাল ও ১ টি রামদা উদ্ধার করে। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে মো. পিকুল মোল্যা, ফজলু মোল্যা, মো. সাব্বির হোসেন মোল্যা, মো. জাহাঙ্গীর মোল্যা, ইছহাক মোল্যা, ইব্রাহিম মোল্যা, মঞ্জুর মোল্যা, সেলিম শিকদার, রাশেদ মোল্যা, লুৎফর শেখ, বিকু শেখকে আটক করা হয়েছে। পরিস্থিতি শান্ত রাখতে ওই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পিকুল মোল্লা পুলিশের হাতে আটক ও ইশারত হোসেন পলাতক থাকায় কারো বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ফায়েজুর রহমান বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় থানায় দুটি মামলা রুজু হয়েছে। এই মামলায় ১১ জনকে আটক করে ফরিদপুর বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। সংঘর্ষ এড়াতে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে আছে।
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com