শুক্রবার (১ মার্চ) টেলিফোন পাবার বিষয়টি প্রতিমন্ত্রীরা গনমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী হিসেবে নজরুল ইসলাম চৌধুরী, অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী শামসুন্নাহার চাঁপা এবং স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডাক্তার রোকেয়া সুলতানা দায়িত্ব পাচ্ছেন। তবে বাকীরা কে কোন মন্ত্রনালয় পাচ্ছেন তা এখনো জানা যায়নি। ওয়াসিকা আয়শা খান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদক। তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়ামের প্রাক্তন মেম্বার আতাউর রহমান খান কায়সারের সন্তান।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী চট্টগ্রাম ১৪ চন্দনাইশ (সাতকানিয়া আংশিক) আসন থেকে টানা তিনবার এমপি হয়ে হ্যাটট্রিক করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে।
ডা. রোকেয়া সুলতানার বাবার পৈতৃক বাড়ি জয়পুরহাট সদর উপজেলার বানিয়াপাড়া গ্রামে। তিনি শহীদ পরিবারের সন্তান। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তার বাবা শহীদ কবি মাহতাব উদ্দীনকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ধরে নিয়ে হত্যা করে। মাহতাব পূর্ব পাকিস্তান রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার ছিলেন। তিনি কুড়িগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং কুড়িগ্রাম কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন। মেডিকেলে পড়ার সময় তিনি রংপুর মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন।
শামসুন্নাহার চাঁপা আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাকের বোন। সেইসঙ্গে তিনি নিজেও আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক।
গত ১১ জানুয়ারি নতুন মন্ত্রিসভা শপথ নেয়। এর পর থেকেই আলোচনা আছে, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচনের পর মন্ত্রিসভা পুনরায় সম্প্রসারিত হবে। ক্ষমতাসীন দল এবার সংরক্ষিত মহিলা আসনের ৫০টির মধ্যে ৪৮টি পেয়েছে। গত বুধবার শপথও নিয়েছেন তারা। বর্তমান মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রী বাদে পূর্ণ মন্ত্রী রয়েছেন ২৫ জন এবং প্রতিমন্ত্রী ১১ জন। ৩৭ সদস্যের এই মন্ত্রিসভায় কোনো উপমন্ত্রী নেই।
আপনার মতামত লিখুন :