নিজস্ব প্রতিনিধি
ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা। এর প্রতিটি নির্দেশনা মানব কল্যাণে নিবেদিত। ইসলামের সমাজব্যবস্থায় সংযম ও নারীর মর্যাদা—এই দুটি বিষয় অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
ইসলামে সংযম শুধুমাত্র রোজা বা খাদ্য থেকে বিরত থাকার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; বরং এটি মানবজীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রের সাথে সম্পর্কিত—চোখ, কান, জিহ্বা, হাত-পা এমনকি চিন্তার ক্ষেত্রেও সংযম পালন আবশ্যক।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন:
“যারা তাদের প্রবৃত্তিকে সংযত করে, জান্নাত নিশ্চয়ই তাদের জন্য।” (সূরা নাজিয়াত: ৪০-৪১) একজন সংযমী ব্যক্তি সমাজে শান্তি, ন্যায় ও ভারসাম্য রক্ষা করে। ইসলামি সমাজব্যবস্থায় এই সংযম চর্চা নৈতিকতার ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।
রাসূল (সা.) বলেন: “তোমাদের মধ্যে উত্তম সে-ই, যে তার স্ত্রীর সঙ্গে উত্তম আচরণ করে।” (তিরমিজি)
এই হাদিসের মাধ্যমে নারীর প্রতি সদ্ব্যবহার ইসলামি সমাজের একটি মৌলিক মূল্যবোধ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
যেখানে সমাজে সংযমের মাধ্যমে আত্মনিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হয়, সেখানে নারীর মর্যাদা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়। ইসলাম নারীকে ভোগ্যবস্তু নয়, বরং মর্যাদাপূর্ণ সত্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। পুরুষ ও নারী উভয়েই সংযম চর্চার মাধ্যমে সমাজে ভারসাম্য রক্ষা করতে পারে।
আজকের সমাজে যখন নৈতিকতা, পর্দা ও পারিবারিক মূল্যবোধ ক্ষয়ের পথে, তখন ইসলামি সমাজব্যবস্থায় সংযম ও নারীর মর্যাদার পুনঃপ্রতিষ্ঠা অত্যন্ত জরুরি। ইসলাম শুধু বিশ্বাস নয়, একটি চর্চিত জীবন্ত আদর্শ—যা মানবতাকে মুক্তি ও মর্যাদা দিতে সক্ষম।
আপনার মতামত লিখুন :