নিজস্ব প্রতিনিধি
ইসলাম ধর্মে সুদ (রিবা) ও ঘুষ (রিশওয়াহ) উভয়কেই কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সমাজে অন্যায় বৈষম্য ও নৈতিক অবক্ষয়ের প্রধান উৎস হিসেবেই এগুলোকে চিহ্নিত করা হয়েছে। আজকের দিনে অর্থনীতির মোড়লে রূপ নেওয়া এই দুটি পাপকর্মই মানব সমাজে চরম দুর্নীতির জনক হিসেবে বিবেচিত।
সুদ এক ধরনের শোষণমূলক আর্থিক লেনদেন। এতে মূলধনের উপর অতিরিক্ত লাভ গ্রহণ করা হয়, যা ইসলামের দৃষ্টিতে জুলুম ও অবিচার।
আল্লাহ তাআলা কোরআনে বলেন: “যারা সুদ খায়, তারা কিয়ামতের দিনে সেই ব্যক্তির মত উঠে দাঁড়াবে, যাকে শয়তান স্পর্শ করে পাগল করে দিয়েছে।” (সূরা বাকারা: ২৭৫)
সুদ মানুষকে স্বার্থপর, অবিবেচক এবং নিঃসংশয়ে অন্যকে ঠকাতে উৎসাহিত করে। এতে ধনী আরও ধনী হয়, গরিব আরও গরিব হয়ে পড়ে—ফলে সামাজিক বৈষম্য ও বিদ্বেষ জন্ম নেয়।
ঘুষ একটি সামাজিক ব্যাধি, যা ন্যায়বিচারকে বিলুপ্ত করে। ইসলামে ঘুষ গ্রহণকারী ও প্রদানকারী উভয়ের প্রতি অভিশাপ দেওয়া হয়েছে।
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন: “ঘুষদাতা, ঘুষগ্রহীতা ও মধ্যস্থতাকারী—তিনজনকেই আমি লা’নত (অভিশাপ) করেছি।” (আবু দাউদ) ঘুষের কারণে মেধাবীরা বঞ্চিত হয়, দুর্নীতিপরায়ণরা সুযোগ নেয়। এর ফলে সমাজে অবিচার, অনাচার ও জবাবদিহিহীনতা গড়ে ওঠে।
সুদ ও ঘুষ শুধু ব্যক্তিগত পাপ নয়, এটি একটি সামষ্টিক ব্যাধি। এর পরিণতি শুধু দুনিয়াতে নয়, আখিরাতেও ভয়াবহ। তাই ইসলামি সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য এই দুই হারাম কাজ থেকে দূরে থাকাই ইমানদারের পরিচয়।
আপনার মতামত লিখুন :