নবীন মাহমুদ
ঝালকাঠির গাবখান টোল প্লাজায় সিমেন্ট বোঝাই ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি মাইক্রোবাস ও তিনটি অটোরিক্সা নিয়ে খাদে পড়ে যাওয়ার ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ জনে।
বুধবার দুপুর ২টার দিকে পৌর এলাকার পশ্চিম প্রান্তে পঞ্চম চীন-বাংলাদেশ মৈত্রি গাবখান সেতুর টোল প্লাজায় এ ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে।
ক্ষতিগ্রস্ত যান ও ট্রাকটি উদ্ধার করে জব্দ করেছে পুলিশ। এ দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি করেছে জেলা প্রশাসন। আগামী ৫দিনের মধ্যে কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক ফারাহ গুল নিঝুম।
টোল কর্মীরা জানান ‘দুপুর ২টার দিকে ব্রিজ থেকে ট্রাকটি নামার সময়ই ওর গতি দেখে গন্ডগোল বুঝে রাস্তা ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয় নিই। এরমধ্যেই জোরে বিকট শব্দ হয়। দৌড়ে এসে ক্ষতবিক্ষত ও ছিন্নভিন্ন অবস্থায় দেখতে পাই।’
স্থানীয়রা জানান, দুপুরে রাজাপুরের দিক থেকে বরিশালের উদ্দেশ্যে আসা সিমেন্ট বোঝাই একটি ট্রাক গাবখান ব্রিজ থেকে নামার সময়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যায়। টোল প্লাজায় অবস্থানরত একটি মাইক্রোবাস ও অটো রিক্সাকে ধাক্কা দিয়ে নিয়ে খাদে পড়ে যায়। ট্রাকের ক্ষতি কম হলেও মাইক্রোবাস ও অটোরিক্সাটি দুমড়ে মুচড়ে গেছে। স্থানীয়রা এবং ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার অভিযান চালায়। এসময় রক্তাক্ত অনেক দেহ বের করা হয়। টোলপ্লাজার কর্মীরাও রয়েছে। উদ্ধারকৃত ক্ষতবিক্ষত দেহগুলো সদর হাসপাতালে নেয়ার পর সেখানে ১১ জনকে মৃত ঘোষণা করা হয়। এছাড়া ২০ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। এদের মধ্যে গুরুতর আহত বেশ কয়েকজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে রাজাপুরে একই পরিবারের ৫ জন ও কাঠলিয়ার একই পরিবারের ৩ জন রয়েছে।
পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল জানান, গাবখান ব্রিজ টোল প্লাজায় ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি মাইক্রোবাস ও তিনটি অটোকে নিয়ে খাদে পড়ে। টোলে দায়িত্বরত কর্মীসহ অনেকজন হতাহত হন। এতে ঘটনাস্থলে ও চিকিতসাধীন অবস্থায় শিশুসহ ১৪ জনের মৃত্যু এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া গেছে। পুলিশ, ফায়ারসার্ভিস ও স্থানীয়রা উদ্ধার অভিযান সম্পন্ন করেছে। ঘাতক ট্রাকের চালক ও হেল্পারকে গ্রেফতার সহ দুর্ঘটনার ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :