নড়াইল জেলা প্রতিনিধি।
নড়াইলের লোহাগড়া বাজারে পেঁয়াজের দাম লাগামহীন হয়ে পড়েছে। ভারতের পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞার খবর প্রকাশের পর থেকে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। হঠাৎ পেঁয়াজের এই লাগামহীন মূল্য বৃদ্ধির কারনে চরম ক্ষুব্ধ ক্রেতা সাধারন। সোমবার (১১ডিসেম্বর) সরেজমিনে লোহাগড়া ও লক্ষ্মীপাশা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দুদিনের ব্যবধানে দ্বিগুণ হয়ে কেজি প্রতি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২০০-২২০ টাকায়। নতুন পেঁয়াজ (মুড়িকাটা) ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজের বাজারের এমন অস্থিতিশীলতায় দিশেহারা অবস্থা ক্রেতাদের। দাবি, বাজার মনিটরিং জোরদার করার। অথচ, বাজার মনিটরিংয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষ রয়েছে নি:রব-নির্বিকার।
গত শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) ১২০-১৩০ টাকায়ও মিলেছে দেশি পেঁয়াজ। রাত গড়াতেই শনিবার সকালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২০-২৩০ টাকা। এদিকে দাম বাড়ার খবরে প্রতি মুহূর্তে বাজারে কমছে পেঁয়াজ; পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দাম। অসাধু ব্যবসায়ীরা গোডাউনে পেঁয়াজ রেখে বেশী দাম হাঁকাচ্ছে বলে অভিযোগ ক্রেতাদের।
লক্ষ্মীপাশা চৌরাস্তা বাজারে আগত আবুল কাসেম বলেন, দেশে কি অরাজক পরিস্থিতি চলছে আমরা বুঝতে পারছি না। কিছুদিন পরপরই নিত্যপণ্যের বাজার অস্থির, মোটা টাকা চলে যাচ্ছে মধ্যবিত্তের পকেট থেকে। ফের পেঁয়াজের দাম বাড়ায় আমাদের মতো মধ্যবিত্ত পরিবার গুলো রীতিমতো দিশাহীন।
লক্ষ্মীপাশা এলাকার এক ভ্যানচালক বলেন, ” হুটহাট করে জিনিসপত্রের দাম বাড়ালেও প্রশাসন নিরবতা পালন করে। আমরা খেটে-খাওয়া মানুষের সংসার চালাতে জীবন শেষ”
শহরের সিঙ্গা এলাকার কাঁচামাল ব্যবসায়ী নাঈম বলেন, আড়ৎ থেকে বেশী দামে কিনে আনতে হয়, বিধায় বেশী দামে বিক্রি করি। সেখানে দাম কমলে আমরাও কম দামে বিক্রি করবো”
এ বিষয়ে লোহাগড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোসা: আফরিন জাহান বলেন, পেঁয়াজের বাজারে অসাধু কিছু ব্যবসায়ী দাম বাড়িয়েছে। আমরা কাজ করছি। বাজারে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে খুব শ্রীঘ্রই অভিযান পরিচালনা করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :