কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন : চাচা -ভাতিজার লড়াই


অনলাইন ডেস্ক প্রকাশের সময় : এপ্রিল ২৬, ২০২৪, ১:৩১ পূর্বাহ্ণ /
কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন : চাচা -ভাতিজার লড়াই

লালমনিরহাট প্রতিনিধি-

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন ২য় দফায় আগামী  ২১ শে মে অনুষ্টিত হতে যাচ্ছে। এ নির্বাচনকে ঘিরে উপজেলার হাট-বাজার সবখানেই ছেয়ে গেছে পোস্টার-ব্যানার ও ফেস্টুন। উন্নয়নের নানা প্রতিশ্রুতি নিয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন প্রার্থীরা। চায়ের দোকানেও চলছে আলোচনা। কালীগঞ্জ  উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে তিনজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে পাঁচজন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুই জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। 

এরমধ্যে চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি, কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের দুবারের সফল চেয়ারম্যান, সাবেকমন্ত্রীর সহোদর ভাই মাহবুবুজ্জামান আহমেদ।  অপর দিকে লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, লালমনিরহাট -২ আসনের সাংসদ, সাবেকমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ এর পুত্র রাকিবুবুজ্জামান আহমেদ এবং স্বতন্ত্রপ্রার্থী তারিকুল ইসলাম তুষার। 

কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়ন যাচাই-বাছাই শেষ হলেও তিন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর কাউকেই তেমনভাবে জোরে সোরে নির্বাচনী  প্রচারণায় অংশ নিতে দেখা যাচ্ছে না। 

সকলেই হালকাভাবে নির্বাচনী গণসংযোগে অংশ নিচ্ছেন। তবে স্থানীয় ভোটারদের ধারনা প্রতিক বরাদ্দের পর কালীগঞ্জে নির্বাচনে উৎসবমূখর আমেজ বিরাজ করবে। 

তবে এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও প্রভাব মুক্ত রাখতে সভানেত্রী শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনা মন্ত্রী এমপিদের স্বজনরা কেউ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।  তবে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি বলেছেন, বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যানদের ক্ষেত্রে স্বজননীতির এ কঠোর নীতিমালা শিথিল থাকবে।

উপজেলা ঘুরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে যে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও  আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা মন্ত্রী এমপিদের স্বজনদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার যে ঘোষনা দিয়েছেন তা মন্ত্রী এমপিরা মানেন কিনা? যদি না মানেন তাহলে দল তাদের বিরুদ্ধে কি সিধান্ত নেন সেটার অপেক্ষায় আছি। যদি ও স্থানীয় এমপি তারপুত্রকে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ইতিমধ্যেই প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতারা বলেন, কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত দলের কমান্ড ভেঙ্গে পড়েছে। এটি নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে আগামী দিনে আওয়ামী লীগকে কঠিন মাসুল দিতে হবে বলে মনে করেন তারা। শুধু তাই নয় উপজেলা নির্বাচন প্রভাবিত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।

অপরদিকে এমপিপুত্র রাকিবুবুজ্জামান আহমেদ এর বিরুদ্ধে হলফনামায় তথ্য গোপনের অভিযোগ করে তার মনোনয়ন বাতিলের দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন চাচা, বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান মাহবুবুজ্জামান আহমেদ।

 এ বিষয়ে মাহবুবুজ্জামান আহমেদ বলেন, এমপি পুত্র তার নির্বাচনী হলফনামায় তার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন। তার মনোনয়ন বাতিলে মহামান্য হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করবেন বলে জানান তিনি। তিনি অভিযোগ করে বলেন, এমপি তার পুত্রকে প্রার্থী ঘোষণা করে নিজ এলাকায় অবস্থান করে দলীয় নেতাকর্মীদের বিভিন্নভাবে তার ছেলের পক্ষে কাজ করতে চাপ সৃষ্টি করছেন।

মাহবুবুজ্জামান আরোও বলেন, স্থানীয় এমপিরা নিজেদের বলয়ের প্রার্থী বিজয় নিশ্চিত করতে নির্বাচন কে প্রভাবিত করতে পারেন বলে আশংকা করেন তিনি। এছাড়াও তিনি সুষ্ট ভোট অনুষ্ঠানের লক্ষে স্থানীয় এমপি ও তার পুত্র যে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সভাপতি রয়েছেন সে সকল প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী কর্মকর্তা কর্মচারীদের ভোটের দায়িত্বে নিয়োজিত থাকা প্রিজাইডিং অফিসার ও পুলিং এজেন্ট নিয়োগ না দিতে আহবান জানান তিনি। 

স্থানীয় ভোটারদের মতে, চাচা-ভাতিজা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় ভোট কারচুপি ও সংঘর্ষের আশংকা করছেন বলে জানিয়েছেন। সাধারণ ভোটারদের ধারনা এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও ভোট কারচুপি ও জাল ভোট দেয়ার মত ঘটনা ঘটতে পারে তাই ভোরার উপস্থিতি তেমনটা লক্ষ্য করা নাও যেতে পারে।

Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com