জয়পুরহাটে ডায়রিয়ার প্রকোপ দিনে দিনে বেড়ে চলছে। এখন প্রতিদিন ৬০ থেকে ৭০ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত নতুন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। হাসপতালে স্থান সংকুলান না হওয়ায় বাধ্য হয়ে এ রোগীদের অনেকেই বারান্দা কিংবা করডোরের মেঝেতে শয্যা পেতে চিকিৎসা নিচ্ছে।
ডায়রিয়ায় আক্রান্তের মধ্যে বেশির ভাগ শিশু। অন্যান্য রোগীর পাশাপাশি ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে জয়পুরহাট জেলা হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সদের। প্রায় দেড় মাস ধরে চলছে এ অবস্থা। কিছুতেই ডায়রিয়ার প্রকোপ কমছে না।
আধুনিক জেলা হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডের কর্তব্যরত স্টাফ নার্স (সেবিকা) নাসিমা সুলতানা জানান, প্রতিদিন একদিকে সুস্থ হয়ে একদল বাড়ি চলে যাচ্ছে। অন্যদিকে, চিকিৎসা নিতে নতুন করে রোগী এসে ভর্তি হচ্ছে। এভাবে গড়ে ৫০ জনের বেশি নতুন ডায়রিয়ার রোগী ভর্তি হচ্ছে। হাসপাতালে নতুন ও পুরোনো মিলে সব সময় ৬০ থেকে ৭০জন ডায়রিয়ার রোগী ভর্তি হয়ে থাকছে।
ডায়রিয়ায় আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত কেউ মারা না গেলেও প্রায় প্রতিদিন আশঙ্কাজনক অবস্থায় দু-একজন রোগীকে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করতে হচ্ছে বলে আধুনিক জেলা হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ড সূত্রে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মিজানুর রহমান মিজান বলেন, ‘দেড় মাস ধরে এ হাসপাতালে ডায়রিয়া ওয়ার্ডে রোগীর সংখ্যা দিনের পর দিন বেড়ে চলছে। তাদের চিকিৎসা দিতে আমরা হিমশিম খাচ্ছি।’ ‘ডায়রিয়ার কারণ হিসেবে আমরা মনে করছি, মৌসুম পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে সিজনাল ভাইরাসই এর জন্য দায়ী।
আপনার মতামত লিখুন :