প্রধানমন্ত্রীর নিকট “খোলা চিঠি”


অনলাইন ডেস্ক প্রকাশের সময় : সেপ্টেম্বর ১, ২০২৩, ১:১২ অপরাহ্ণ /
প্রধানমন্ত্রীর নিকট “খোলা চিঠি”

“খোলা চিঠি”

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,

আসসালামু আলাইকুম। পত্রের প্রথমে আমাদের মুজিবীয় শুভেচ্ছা নিবেন। আশা করি স্রষ্টার কৃপায় ভালো আছেন।

কোটি কোটি দিন এনে দিন খাওয়া মানুষের পক্ষে লেখা আপনাকে এই খোলা চিঠি বিশ্ব চিঠি দিবসে লিখতে বসলাম এই আশায় যে, বৈষম্যের বেড়াজাল ছিন্নকারী, শোষিতের বন্ধু, স্বাধীনতার মহান স্থপতি, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে দীক্ষিত এই আমার মতো একজন নগণ্য মানুষের লেখা হয়তো কোন না কোন উপায়ে আপনার কাছে পৌঁছাবে সেই আশায়।

প্রিয় জননেত্রী,একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে আপনার ভূমিকা আজ দেশের গণ্ডি পেরিয়ে সমগ্র বিশ্বের কারো কাছে অজানা নয়। আপনার মহান নেতৃত্বে আমরা মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হতে যাচ্ছি। পদ্মা সেতুর নিজস্ব অর্থায়ন থেকে শুরু করে দেশের প্রতিটি খাতে সমৃদ্ধি এনে দেয়ার একমাত্র নেত্রী যে শেখ হাসিনা তা বাংলাদেশের মানুষ অনেক আগেই জেনেছে। দেশের আপামর জনসাধারণের আশা-ভরসার শেষ আশ্রয়স্থল যে আপনি- তা আপনি নিজেও জানেন।

মমতাময়ী নেত্রী,সমগ্র দেশ যখন উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে তখন অনেকে বুক চাপড়াচ্ছে দ্রব্য মূল্যের লাগামহীন দাম বৃদ্ধিতে।গার্মেন্টস কর্মীরা ১০-১৫ হাজার টাকা ইনকাম করলেও এ টাকায় কি ৪সদস্যের একটি পরিবারের জন্য যথেষ্ট? এভাবেই চলছে বছরের অধিক এখন ওরা ঋণ গ্রস্ত। অনেকে রাত দিন ওভার টাইম করে খেটে যাচ্ছে পরিবারের জন্য। অনেক শিক্ষিত ছেলেকে দেখেছি চাকরি করে পার্টটাইম রিকশা চালাইতে।মানুষ আজ দিশেহারা,একদিন ঠিকই হয়তো বেতন বৃদ্ধি হবে নয়তো দ্রব্য মূল্যের দাম কমবে।এতোদিনে মানুষ হা করে নিশ্বাস নিতে পারবেনা।একটি পরিবারের কথা আমি বলি আমি দেখেছি এমন একজনকে যার পরিবারে ২ছেলে ১ছেলের বয়স ৪বছর আরেক ছেলের বয়স দেড় বছর এই দুই ছেলের বাবা একটি গার্মেন্টসে চাকরি করে বতেন ১২ হাজার দুই ছেলের মা দুই ছেলেকে রেখে না পারে চাকরি করতে না পারে স্বামীর অসাধ্য কষ্ট সহ্য করতে।উনারা ময়মনসিংহ থেকে এসে গাজীপুরে ভাড়া বাসায় থেকে চাকরি করে। তাই বাধ্য হয়ে দুই ছেলের বাবা এখন ডিউটি শেষ করে ঝাল মুড়ি বিক্রি করে পরিবারের চাহিদা মেটানোর চেষ্টা করছে।এতে কি চাহিদা মিটছে পরিবারের? মোটেই না গত ৬মাসে অনেক টাকা ঋণ হয়ে গেছে।

প্রিয় বিশ্ব মানবতার বিবেক,বিদ্যমান পরিস্থিতি সামাল দিতে ছোট কারখানা সহ লেবার শ্রমিক দের বেতন বাড়ানো অতি জরুরী, এই বঞ্চনা একদিকে যেমন গার্মেন্টস কর্মীদের মনে ক্ষোভের সঞ্চার করছে, অন্যদিকে তেমনি রাষ্ট্র হারাচ্ছে সম্ভাবনাময় খেটে খাওয়া মানুষের শক্তি। যা টেকসই উন্নয়ন ও রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নের অন্তরায় হিসেবে পরিগণিত হতে যাচ্ছে।

প্রিয় মাদার অব হিউম্যানিটি,আপনার সুবিবেচনাপূর্ণ একটি সঠিক পরামর্শই পারে এই সমস্যার সমাধান হতে পারে দ্রব্য মূল্যের হতাশা দূর করতে। বিদ্যমানদ্রব্য মূল্য বৃদ্ধি ঠেকানো সহ দ্রুত শ্রমিকদের বেতন বাড়ানোর সুযোগ করে দিবেন- সে আশা আমরা একমাত্র আপনার কাছেই করতে পারি। কারণ আমরা বিশ্বাস করি, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা কখনো ভুল সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না।

অবশেষে আপনার সর্বাঙ্গীণ মঙ্গল ও দীর্ঘায়ু কামনা করে বিদায় নিচ্ছি।জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।

ইতি-

গার্মেন্টস শ্রমিকদের দের পক্ষে

আশিকুর রহমান সবুজ

শ্রীপুর,গাজীপুর।

Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com