জাহিদুল হক বাবু, ঝিনাইদহ:
দুই বছরের প্রেমের সম্পর্ক, কিন্তু ছেলের পরিবারের অমতে সেই সম্পর্কের পরিণতি সম্ভব হচ্ছিল না। ফলে প্রেমিক-প্রেমিকা আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রেমিকা আনজিতা (১৯) কীটনাশক পান করলেও প্রেমিক রাহাত (২২) তাকে ফেলে রেখে পালিয়ে যান।
ঘটনাটি ঘটেছে গত শনিবার (৩১ মে) রাত ১০টার দিকে, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার গাড়া মারা গ্রামে। প্রেমিকা আনজিতা স্থানীয় একটি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী এবং ওই গ্রামের শাজাহানের মেয়ে। প্রেমিক রাহাত একই গ্রামের মশিয়ারের ছেলে।
আনজিতার মা রহিমা খাতুন বলেন, “আমার মেয়ের সঙ্গে রাহাতের প্রেম ছিল। আমরা বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলাম, কিন্তু ওদের পরিবার তা মেনে নেয়নি।”
তাঁর দাবি অনুযায়ী, শনিবার রাতে প্রেমিক রাহাত আনজিতাকে ডেকে নিয়ে বাশবাগানে আত্মহত্যার পরিকল্পনার কথা জানায় এবং নিজেই কীটনাশক কিনে এনে তার হাতে তুলে দেয়। প্রেমিকা কীটনাশক পান করার পর অসুস্থ হয়ে পড়লে রাহাত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
আনজিতাকে প্রথমে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে এবং পরে অবস্থার অবনতি হলে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। বর্তমানে তাকে বাড়িতে আনা হয়েছে, তবে শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন বলে পরিবার জানায়।
ঘটনার পরপরই অভিযুক্ত রাহাত এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছে।
রাহাতের বাবা মশিয়ার জানান, “আমার ছেলের সঙ্গে মেয়েটির সম্পর্ক ছিল। সে দিন মেয়েটি আমাদের বাড়িতে এসেছিল, আমরা তাকে বুঝিয়ে ফিরিয়ে দিই। পরে রাতে সে বিষ খেয়েছে।”
ওই ওয়ার্ডের মেম্বার খলিলুর রহমান বলেন, “ঘটনার আগে কেউ বিষয়টি জানত না। বিষ খাওয়ার পরেই ঘটনাটি সামনে আসে। মেয়েটির অবস্থার অবনতি হওয়ায় আবার হাসপাতালে নেওয়া জরুরি।”
ঘটনার বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
আপনার মতামত লিখুন :